Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নিরাপত্তা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশের সব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতির (ভাস্কর্য) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের বিষয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন সম্পর্কে শুনানির দিনে এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, দেশের যে কোনো স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, প্রতিকৃতি (ভাস্কর্য) এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাধীন কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, ডিসি, এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালত একইসঙ্গে এসব বিষয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিনে সম্পূরক এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন।
শুনানিকালে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করায় মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করেন আদালত। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ এ রিট দায়ের করেছিলেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল যে স্থানে মঞ্চ পুনঃনির্মাণ কেন করা হবে না, ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোডের’ (তর্জনি উঁচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে। সে রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় হেড কোয়ার্টার্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণার বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বঙ্গবন্ধুসহ দেশের সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে আরেকটি রিট আবেদন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।



 

Show all comments
  • Nadim ahmed ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ পিএম says : 0
    ভাস্কর্যের নিরাপত্বা দিন। জনগনের নিরাপত্বার দরকার নাই, যখন ইচ্ছা যাকে ইচ্ছা ক্রস ফায়ার দিবেন অথবা পিটিয়ে মেরে ফেলবেন। জনগন মরলেও আপনাদের কি?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাস্কর্য আর মূর্তি

২০ ডিসেম্বর, ২০২০
১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ