Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুলকপি চাষে মাগুরার কৃষকের সাফল্য

সাইদুর রহমান, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাগুরায় আগাম ফুলকপি চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন জেলার কৃষকরা। শীতের শুরুতে নতুন সবজি হিসেবে বাজারে আসতে শুরু করেছে ফুলকপি। সাধারণ মানুষের মধ্যে নিত্য সবজি বাদে ফুলকপি বেশ জনপ্রিয়। বেশ কিছু সবজি সারা বছর পাওয়া গেলেও ফুলকপি সবজি বাজারে পাওয়া যায় নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার কিছু গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা এ চাষ করছেন। এসব উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শীতের শুরুতে তারা ক্ষেত থেকে ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করছেন এবং ভালো দাম পাচ্ছেন। তারা আরো জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর থাকার কারণে এ সবজির চাহিদা বেশি।
শ্রীপুর উপজেলার হাজরাতলা গ্রামের ফুলকপি চাষি মিলন রায় জানান, সে ৫০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ চাষের জন্য জমি তৈরি করে ফুলকপি চারা রোপন করে। চারা রোপনের পরপরই শুরু করে নিয়মিত পরিচর্যা। পাশাপাশি সার ও সেচ দেয়া শুরু করে জমিতে। অন্যান্য সবজির তুলনায় এ চাষে বাড়তি যতœ না করলে ফলন ভালো হয় না। চারা বড় হলে জমির মধ্যে আগাছা পরিস্কার করতে হবে, নইলে চারা বৃদ্ধি পাবে না বলে সে জানায়। এ চাষের জন্য সূর্যের আলো খুবই প্রয়োজন। ঘন কুয়াশা বা বৈরি আবহাওয়া কিংবা অতিবৃষ্টি হলে এ চাষের ক্ষতি হয়। চারা বড় হয়ে ফল আসতে শুরু করলে পরিচর্যা আরো বাড়াতে হবে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে পরিপূর্ণ হয় ফুলকপি।
তিনি আরো জানান, ৫০শতক জমিতে এ চাষে তার খরচ হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আশা করছে এ বছর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করবে। পাইকারি বাজারে বর্তমানে ফুলকপি প্রতিটি ১৫-২০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। এসব চাষের পাশাপাশি সে বেগুন, পেয়াজ, মিষ্টি কুমড়ো, মুলা ও সিম চাষ করে পেয়েছে সাফল্য।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক জানান, অন্যান্য সবজির তুলনায় জেলায় ফুলকপি চাষ হয় খুবই সামান্য। কারণ এ চাষে সবজির বাড়তি পরিচর্যা ও পরিশ্রম করতে হয় কৃষকদের। নিয়মিত সেচ, সার ও বাড়তি যতেœর ফলেই পাওয়া যায় পরিপূণ ফল। এবার জেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করা হচ্ছে। তারা কপি চাষে জেলার কৃষকদের আরো উদ্ধুদ্ধ করা হয় বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ