Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উলিপুরে ১১ ইউনিয়ন পরিষদে পল্লী বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমান সাড়ে ৩ লাখ টাকা

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৪৫ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ১টি পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের নিকট সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাওনা বিদ্যুৎ বিল রয়েছে । সঠিক সময় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তৃণমূলে সেবা গ্রহণকারী অনেক মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে । দফায় দফায় বিল পরিশোধের জন্য চিঠি দিলেও তা আমলে নিচ্ছেনা অনেক ইউনয়িন পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি উলিপুর জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এস.এম নাসির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ।

বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ইতোমধ্যে দুটি ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ । আর এতেচরম ভোগান্ততিতে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবা গ্রহীতারা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ বলছেন , দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়ার পাহাড় নিয়ে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ গুলো তাদের বকেয়া পরিশোধ না করলে তাদেরও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ৩ লাখ ১০ হাজার ২৭৬ টাকা ও একটি পৌরসভায় ৪৫ হাজার ৩শ' ৭৩ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে । এরমধ্যে ধামশ্রেণী ইউনিয়ন পরিষদে ৩১ মাসে ১ লাখ ৫৪৫ টাকা, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৬ মাসে ১৬ হাজার ৯২, তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২২ মাসে ২০ হাজার ৯৭৪, দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৯ মাসে ৮ হাজার ৯৫৮, হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৮ মাসে ২০ হাজার ৮০৫, ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ মাসে ৩৪ হাজার ৩৬৯, বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদে ১২ মাসে ৩৪ হাজার ৪৮৩, থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদে ২০ মাসে ৫৮ হাজার ৫৭৬, বজরা ইউনিয়ন পরিষদে ১৮ মাসে ১৫ হাজার ৪৭৪ ও উলিপুর পৌরসভায় ১৬ মাসে ৪৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
একদিকে এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বার বার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য তাগাদা পত্র দিলেও তা আমলে নেয়নি তারা। কার্যত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে যেন অসহায় হয়ে পরেছে । ইতোমধ্যে থেতরাই ও ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় নাগরিকরা দৈনন্দিন সরকারের দেয়া সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন যেখানে সাধারণ মানুষ দু-তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকী রাখলে জরিমানাসহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। সেখানে কিভাবে মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিল না দিলেও সংযোগ সচল থাকে !
ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা এক নাগরিক জানিয়েছেন , কয়েকদিন ধরে জন্ম নিবন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা থেকে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তারা জন্মসনদ দিতে পারছেন না। ঐসব এলাকায় নাগরিক সেবা স্থবির হয়ে পরেছে । তবে ঐ ইউনিয়নে নাগরিক সবা যেন স্থবির না হয় সে জন্য পুনঃ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
থেতরাই ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালক আতিকুর রহমান জানান, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেঁটে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ফলে কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর জোনাল অফিসের ডেপুটিজেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এস এম নাসির উদ্দীন বলেন , ইউনিয়ন পরিষদে আয়ের একটা উৎস আছে , কিন্তু বার বার চেয়ারম্যানদের চিঠি দেয়া হলেও তারা বিল পরিশোধ করেনি। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ