বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আদালতের আদেশে গৃহহীনদের জন্য আবাসনের তিন পরিবারের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড সুন্দরগঞ্জ মৌজার সিএস খতিয়ান নং ২৬, সাবেক দাগ নং ৪০৮ এর ১৩ শতাংশ জমি উপজেলা প্রশাসন খাস খতিয়ান হিসেবে শনাক্ত করে সেখানে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের আবাসনের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। উক্ত জমি সুন্দরগঞ্জ মৌজার মৃত আনছার আলী ১৯৬০ সালে ৩৫৩৫ নং কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখলের একপর্যায়ে মৃত্যু বরন করেন। এরপর তার ছেলে আজহারুল ইসলাম ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে অন্যান্য জমিসহ মোট ৩৪ শতাংশ জমিতে দোকান ঘর, ধান ভাঙ্গা মিল, চাতাল ও হাউজ নির্মাণ পূর্বক দীর্ঘদিন হতে ব্যবসা-বানিজ্য করে ভোগ দখল করছিলেন বলে সুন্দরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গাইবান্ধাকে বিবাদী করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধায় ১২৬/২০২০ নং (অন্য) মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত উক্ত তফশীলভূক্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশসহ বাদীর ভোগ-দখলে বাধা-বিঘœ সৃষ্টি ও জমিতে মাটি কেটে পুকুর খনন বা বাড়ি-ঘর নির্মাণ বা জমির আকার পরিবর্তন করতে না পারে সেজন্য বিবাদীদেরকে অন্তরবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দ্বারা বারিত করেন। এ অন্তরবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার নোটিশ গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌছানো হলে আবাসনের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গৃহহীনদের জন্য উপজেলায় মোট ২৭২ টি ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মামলার কারণে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে তিন পরিবারের ঘর নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে জমিটি খাস খতিয়ানভূক্ত। ওরা হয়তো ভূল তথ্য দিয়ে মামলা করেছে। আমরা সঠিক কাগজ-পত্র আদালতে উপস্থাপন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।