পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিষে বিষে বিষক্ষয়। এই তত্ত্ব অনুসরণ করে প্রাচীন কালে রাজা এবং অভিজাতদের রোজকার খাবারে সামান্য বিষ রাখার প্রচলন ছিল। যাতে শত্রæপক্ষের বিষ তাদের বিশেষ ক্ষতি করতে না পারে। এই নিয়ম প্রচলিত ছিল গুজরাতের শাসক মেহমুদ বেগাদা বা প্রথম মাহমুদ শাহের ক্ষেত্রেও।
মুজফরিদ বংশের শাসক দাউদ খানের উত্তরসূরি ছিলেন মাহমুদ শাহ। আহমেদাবাদে তার জন্ম ১৪৪৫ খ্রিস্টাব্দে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৪৫৮ খ্রিস্টাদে সিংহাসনে অভিষেক হয় তার। এর পর ১৫১১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৫৩ বছর ধরে শাসন করেছিলেন তিনি। সুলতান থাকাকালীন বহু যুদ্ধ জয় করে শত্রæদমন করেন তিনি। কিন্তু তার জন্য তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত নন। বরং, তিনি ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন তার ভোজনের জন্য। তার দৈনন্দিন খাবারের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
তার বিষ খাওয়ার প্রসঙ্গে ছড়িয়ে আছে একাধিক কিংবদন্তি। ইউরোপীয় ভ‚পর্যটক লুডোভিকো দি ভারথেমা এবং দুয়ার্ত বারবোসা তাকে নিয়ে বহু বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। তাদের বিবরণ বলছে, মেহমুদ বেগাদার ত্বকে কীটপতঙ্গ বসলেও নাকি মরে যেত। এমনকি, সুলতানের থুতু বা লালারসও নাকি ব্যবহৃত হত শত্রæপক্ষকে বিনাশ করার অস্ত্র হিসেবে। এই বিবরণকে অতিরঞ্জন বলে উড়িয়ে দিলেও তার শাসনকালে আগত অন্যান্য পর্যটকদের বিবরণ বলছে, তিনি নাকি প্রতি দিন সকালের নাস্তায় এক পাত্র ভর্তি ঘি, আর এক পাত্র পূর্ণ মধু খেতেন। সঙ্গে থাকত ১৫০টি কলা। তার দৈনন্দিন আহারের বড় অংশ জুড়ে ছিল মিষ্টান্ন। প্রতি দিন নাকি ৫ সের ওজনের মিষ্টি খেতেন তিনি। তার শয্যার পাশে দু’টি থালায় সাজানো থাকত মাংসের পুর ভরা শিঙাড়া। যাতে ঘুম ভেঙে উঠে ক্ষুধা পেলে সুলতান খেতে পারেন।
তবে শুধু রাজসিক খাওয়া দাওয়াই নয়। শাসনকালে বহু সংস্কারমূলক কাজের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে তার নাম। নিজের সীমানা সুরক্ষিত করার পাশাপাশি রাজত্বকালে নতুন নতুন অংশও জয় করেন তিনি। পাওয়াগড় এবং জুনাগড় কেল্লা জয় করে তিনি ‘বেগাদা’ উপাধি পান। ন্যায়পরায়ণতা, পরধর্মের প্রতি সম্মান এবং সাহসের জন্য তাকে গুজরাতের শ্রেষ্ঠ শাসকের উপাধি দেয়া হয়। তার পরে সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় মুজফফর শাহ। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।