Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মা সেতু নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিল তারা কি লজ্জা পেয়েছে ? তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩০ পিএম

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রায় সম্পন্ন হওয়ায় দেশের মানুষ উল্লাসিত হলেও বিএনপিসহ যে সব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সভা-সেমিনারে নানা অভিযোগ তুলেছিল তারা কি এখন আশাহত হয়েছে, নাকি লজ্জা পেয়েছে, এমন প্রশ্ন এখন জনগনের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
শনিবার তথ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত "যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত" শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার যখন পদ্মা সেতুর কাজে হাত দেয় তখন এক টাকা ছাড় না দিয়েও বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তখন বিশ্বব্যাংকের সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপি সহ দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিভিন্ন সভা-সিম্পোজিয়ামে পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ করেছিল। তাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তখন তাই করেছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয় যে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা। বিশ্বব্যাংক পরবর্তীতে প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাইলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তখনও বিএনপি সহ এসব ব্যক্তি-সংস্থার মুখ বন্ধ ছিল না। তারা সবসময়ই এ প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন।
কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মার দুইপাড় সংযুক্ত হওয়ার পর তাদের আর কোন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। তাই জনগণের এখন প্রশ্ন বিএনপিসহ এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান কি লজ্জায় মুখ লুকিয়েছেন নাকি আশাহত হয়েছেন?
দেশের বা সরকারের কোন কাজে ভুল পেলে বিদেশীরা যে সুরে কথা বলেন বিএনপিসহ এসব সংস্থা-ব্যক্তি তার চেয়েও দশগুণ সুরে আওয়াজ তোলেন। দেশের এমন সাফল্যে যেখানে সবাই শেখ হাসিনা ও তার দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সেখানে তাদের এমন নীরবতাই আসলে প্রমাণ করে তারা আসলে আশাহত হয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ এ সেতু করতে পারবে না। আর করতে পারলেও কেউ এ সেতু দিয়ে যাবে না। তাই এখন জনগণের প্রশ্ন বিএনপির নেতারা কি এখন সেতুর উপর দিয়ে যাবেন না নিচ দিয়ে যাবেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বে বর্তমানে আইটি ও আইসিটি নির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে।বাংলাদেশ আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবে অনেক পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথেই একসাথে পথ চলছি। ভারত যেখানে ২০১৬ সালে ডিজিটাল ভারতের কিংবা ইউকে যেখানে ২০১৮ সালে ডিজিটাল ইউকের ঘোষণা দিয়েছিল সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সত্যিই ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ