পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
দুই মাস পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা জানিয়ে বলেন, সম্পূর্ণ মুক্তি চাই। দেশনেত্রীর মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটবে না। দেশবাসীর মুক্তি মিলবে না।
অসুস্থ হওয়ার দুই মাস পর শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।
তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে আমি দুই মাস পরে সুস্থ হয়ে আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি।
আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছেন, আমি তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যেভাবে আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন, দোয়া করেছেন, সেজন্য আমি তাদের প্রতিও জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
রিজভী বলেন, আপনারা জানেন দেশে এক ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে। একটা হচ্ছে আওয়ামী দুর্যোগ, আরেকটা হচ্ছে করোনা দুর্যোগ। এই দুই মহাদুর্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করছে এক অকল্পনীয় ক্রান্তিকাল।
সেজন্য দেশে রাজনীতি নেই, গণতন্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, মানুষের মনে সুখ নেই, অর্থনীতি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। দেশের জনগণ নিশিরাতের লুটেরা সরকারের যাঁতাকলে অবিরাম পিষ্ট হচ্ছে।
গণতন্ত্রের নামে চলছে এক ব্যক্তির স্বৈরশাসন। এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে মিথ্যা মামলায় আটক রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে।
তিনি এখন বাসায় থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্ত নন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উনার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। সাজা স্থগিত হলে তো তার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকার কথা না।
রিজভী বলেন, পার্থক্যটা হচ্ছে, শুধু হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে খালেদা জিয়াকে তার বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তার ওপর জুলুমের যেন শেষ হচ্ছে না।
সরকার দেশনেত্রীকে ভয় পায়। কারণ তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকলে সরকারের লাগামহীন লুটপাট-অপকর্মে বিপত্তি ঘটবে এবং নিশিরাতের নির্বাচন করতে পারতো না।
এজন্য তাকে এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের মা-কে প্রতিহিংসাপরায়ণতার অনলে হত্যা করতে চায় সরকার। আমরা অবিলম্বে তার গৃহ অন্তরীণ অবস্থার অবসান চাই।
আপনারা অবগত আছেন, দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ। তার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট দরকার। কারণ এখানে ডাক্তার যারা আছেন, তারা বলছেন যে, তার উন্নত চিকিৎসা দরকার।
কিন্তু সরকার নানা শর্তের বেড়াজাল তৈরী করেছে যাতে তিনি তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
তার স্বাধীনভাবে দেশে-বিদেশে যেখানে ইচ্ছা চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল বাধা অপসারণ করতে হবে।
বিশ্বের দেশে দেশে জনবিচ্ছিন্ন কর্তৃত্ববাদী ভোটারবিহীন সরকারের অবস্থা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো। গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জুয়া-জোচ্চুরি চালিয়ে রাষ্ট্রে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করে জনগণকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করে।
এজন্য তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করে জনগণকে বন্দী করে রাখার নানা কৌশল অবলম্বন করে।
আইন-প্রশাসন ও আদালতকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতাকে হরণ করে।
সুতরাং সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে যতই নিজেদের সাফল্যগাঁথা প্রচার করুক জনগণ এসব বিশ্বাস করেনা।
তিনি বলেন, জনগণ অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য।
র্যাব-পুলিশ পরিবেষ্টিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন একটি করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
আর এই সংবাদ সম্মেলনের একটাই বিষয় বিএনপির বিরুদ্ধে আজগুবি, কল্পিত সব মিথ্যাচার ও কুৎসা উদগীরণ করা। মিথ্যা বলতে বলতে সত্য ভুলে গেছেন তিনি।
জনগণ তার কথা শুনলে টিভির চ্যানেল বদলে দেয়। তারা নিশিরাতে একটি পার্লামেন্ট বানিয়েছে। মনের মাধুরী মিশিয়ে পার্লামেন্টের বিরোধী দল বানিয়েছে।
রিজভী বলেন, আদালত কিংবা নির্বাচন কমিশন সরকারের মাইক্রোফোন হিসেবে কাজ করছে। সব তাদের হওয়ার পরও প্রতিদিন তাদেরকে কেনো বিএনপির বিরুদ্ধে বলতে হচ্ছে?
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে হচ্ছে?
‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলছে অব্যাহত ষড়যন্ত্র কেনো?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেনো চলছে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটানো? কারণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনে বিএনপির যে অবদান আছে, সেটি আওয়ামী লীগের নেই।
সেই অনুশোচনায় কাদের সাহেবরা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে নিশিদিন অশ্রাব্য মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছেন।
আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই-জনগণের কাছে শাক দিয়ে মাছ ঢেকে লাভ নেই। সরকার নিজের গর্ত নিজেই খুঁড়ছে। এই সরকার বেশিদিন টিকে থাকবে না।
পৃথিবীতে কোনো ফ্যাসিবাদ টিকে থাকেনি। এই নির্দয় ফ্যাসিবাদী সরকারও টিকবে না। জবরদস্তি করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে থাকার দিন শেষ হবে অচিরেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।