পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভ্যাকসিন পেতে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন আগামী মাসেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। একই সঙ্গে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। বৃহষ্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মানান, ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর। বিসিপিএসের সভাপতি প্রফেসর ডা. কাজী দীন মুহাম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমএনসি এন্ড এইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসুচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বকস চৌধুরীসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনিকা টিকা আমদানী করা হবে। এই টিকা আনার জন্য অনেক আগেই চুক্তি করেছে সরকার। বিশে^র অনেক দেশরই চুক্তি না থাকায় টিকা নিতে বিলম্ব হবে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক যোগান দেয়ায় বিশে^র অনেক দেশের আগেই টিকা চলে আসছে বাংলাদেশে। এর পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে কিছু টিকা দিবে। সেগুলোও সরকার সময় মতো হাতে পেয়ে যাবো। আশা করা হচ্ছে, এই প্রাপ্ত টিকাগুলি থেকে ক্রমান্বয়ে দেশের প্রায় ২৭ ভাগ মানুষের টিকা প্রাপ্তি ঘটবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার আগেও বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত করেছে। তবে গত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা দুটিই বেড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে এবং দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূর করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর হতে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চতুর্থবারের মতো সারাদেশে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, এই ক্যাম্পেইনের আওতায় দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেয়া হবে। এছাড়া চলমান করোনা মহামারি বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মী কারো ক্ষতিসাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিত করা হবে। এবারের ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে কমিউনিটির ভিত্তিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।