পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় দুই মাস তথা ৫৮ দিন পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে আসলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। লাঠি হাতে খুব খুব আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দফতরে বসেন রিজভী।
কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
হঠাৎ করেই রিজভীর অফিসে আসাটায় অফিসের কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মীরা ছুটে আসে তাদের প্রিয় রিজভীকে দেখতে। মাস্ক পরে রুমে ঢুকে সালাম দেয় তারা।
অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলো স্মৃতি রোমন্থন করতে দেখা যায় রিজভীকে।
রিজভী বলেন, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে।
যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই।
প্রতিদিন আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।
রিজভী বলেন, মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছে, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন।
সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নয়া পল্টনে অফিস করেন গত ১২ অক্টোবর।
এরপরদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে উঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তিনি।
এরপর তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন রিজভী। গত ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টের মাধ্যমে রিং পরানো হয়। চার দিন সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরে আদাবরের বাসায় ফেরেন।
গত ৩ ডিসেম্বর রিজভীর সহধর্মিনী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে।
স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে তিনি আরেকটি বাসায় আছেন।
রিজভী জানান, তার সহধর্মিনী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনো উপসর্গ নেই। চিকিতসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।