পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল বুধবার বেলা ১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তিন দিনের মাথায় তার দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে হাসপাতালে ভেন্টিলেটশনে রাখা হয়েছিল। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদের সরকারে মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পালন করা কামাল ইবনে ইউসুফের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বিশিষ্ট এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের লাশ ফরিদপুরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের ১ম নামাজে জানাযা বুধবার বাদ এশা গুলশানস্থ আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ৩টায় মরহুমের নিজ এলাকা ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নামাজে জানাযার পর তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন তার মেয়ে মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
১৯৪০ সালের ২৩ মে ফরিদপুর জেলার বাঙালি মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা চৌধুরী মঈজউদ্দিন বিশ্বাস ছিলেন জমিদার। আর বাবা চৌধুরী ইউসুফ আলী (মোহন মিয়া) ছিলেন মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় নেতা।
চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩ আসন থেকে পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে ১৯৭৯ সালে বিএনপিতে যোগদান করেন। কামাল ইবনে ইউসুফ ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট উন্নয়ন কাউন্সিলর (ডিডিসি) ছিলেন। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।
বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সময় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এই বিএনপি নেতা। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বেগম খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে কামাল ইবনে ইউসুফকে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।