বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভাষ্কর্য ভাঙচূড়ের মামলায় বেগম খালেদা জিয়া তারেক জিয়া ও আমাকে হুকুমের আসামী করাটা হচ্ছে সরকারের নিয়মিত প্লট বা পরিকল্পনার অংশ। তাদের নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা আমার বিরুদ্ধে এরকম গোটা পনেরো মামলা দিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সবসময় মামলার মধ্যে রাখা হচ্ছে সরকারের একটা বৈশিষ্ট্য। তিনি বলেন , যখন জনগণের সম্মুখিন তারা হতে পারেন না,যখন গণতন্ত্রকে তারা ভয় পায়,যখন অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন করতে ভয় পায়, তখন তারা গ্রাম্য মোড়লদের মতো মামলা মোকদ্দমা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। এ ধরনের মামলা প্রমাণ করে , এ দেশে কিভাবে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এবং বিরোধীদলকে কিভাবে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করার অপতৎপড়তা চালাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব তাঁর ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতিপাড়াস্থ বাসভবনের সামনে বুধবার বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরিফ,সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
“বিএনপি নয় আওয়ামীলীগই রাজপথ দখল করে আছে” এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, হ্যাঁ সেটা তো করবেই কারণ তাদের চারপাশে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনির পাহাড়া , কিন্তু বিরোধীদলের ন্যুনতম নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। আজও সুগার মিলগুলো বন্ধের প্রতিবাদে বিএনপি’র শ্রমিক দলেন প্রতিবাদ কর্র্মসূচি করতে দেয়া হয়নি।
তিনি বিএনপি’র বর্র্তমান অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বলেন, বিএনপি আন্দোলনেই আছে।স্বৈরশাসককে উচ্ছেদ করতে সময় লাগে,উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ সালে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর আবার ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে,এরশাদ স্বৈরাচার ক্ষমতায় ছিলো ৯ বছর। বর্র্তমান স্বৈরাচারকে উচ্ছেদ করবার জন্যও জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বর্র্তমান সরকার দেশে গণতান্ত্রিক শক্তিকে দাবিয়ে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে উগ্র মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকারের ভূমিকার কারণেই এদেশে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো উগ্র মৌলবাদী অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিকশিত হওয়ার আশংকা করছি আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।