পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৯০৬ জন। অর্থাৎ গত ১০ মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ হাজার ৯শ ছাড়লো। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২০২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জনে। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ এক হাজার ১৯৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৩৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১২টি, জিন-এক্সপার্ট ১৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ১০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ২০০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ২৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও নারী ৭ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন। এছাড়া বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এক জন করে তিন জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩২ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২১১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯২ হাজার ৮৭২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮০ হাজার ৭৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৭৯৬ জন।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ জন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৫ জনে। জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ১০৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডবিøউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে। ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪০ হাজার ৫৭৩ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৬ লাখের বেশি এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ৩১৭ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।