পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বাংলা সাহিত্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সৃজনশীল বই প্রকাশনী কয়ে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। আবার একুশে বই মেলা নিয়ে দেশা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও করোনার কারণে ভার্চুয়ালি বই মেলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে বলা হয় বাঙালির ‘প্রাণের মেলা’। এই মেলাকে কেন্দ্র করে চাঙা হয়ে ওঠে দেশের সৃজনশীল প্রকাশনা। লেখক এবং পাঠক প্রতীক্ষায় থাকেন একুশে গ্রন্থমেলার। সব কিছু সফল করে তুলতে আয়োজকদেরও থাকে বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা। যার শুরু হয় নভেম্বর থেকেই। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে স্টল সাজিয়ে মেলার আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ভার্চুয়ালি একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
গ্রন্থমেলা আয়োজনের কাজ পুরোদমে শুরু করেছে বাংলা একাডেমি। যদিও করোনার কারণে প্রকাশকদের মধ্যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। স্টল বা প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। গতবার যেখানে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠান স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ নিয়েছিল, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮৬টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর ছিল স্টল বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করার শেষ সময়। কিন্তু প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত দুই সমিতি ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’ এবং ‘বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র কেউই স্টল বা প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেননি। এর কারণ উল্লেখ করে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অন্যপ্রকাশ’-এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য। সময় বাড়ালে আবেদন করবো। মেলার আয়োজন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এই প্রকাশক আরো বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে ভার্চুয়ালি মেলা করার কিছু নেই।
এদিকে গ্রন্থমেলা আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চায় বাংলা একাডেমি। সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে ড. জালাল আহমেদ বলেন, আমাদের প্রস্তুতির মূল উদ্বেগের বিষয় করোনা পরিস্থিতি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবস্থার অবনতি হতে পারে। ফলে বুঝেশুনেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ভার্চুয়ালি মেলার আয়োজন করার। যদি ফিজিক্যালি অর্থাৎ স্টল সাজিয়ে মেলার আয়োজন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা ভার্চুয়ালি মেলার আয়োজন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।