Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাপ্তাইয়ে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জনসচেতনতামূলক সভা

আবাসস্থল ধ্বংস, বন উজাড় ও খাদ্য না পেয়ে লোকালয়ে তাণ্ডব

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:০৬ পিএম

পার্বত্যাঞ্চলে বণ্যপ্রাণী অবাসস্থল ধবংস,বন উজাড়,এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বন্যপ্রাণীদের নির্যাতনের ফলে হাতি-মানুষ দ্বন্দ সৃষ্ঠি হচ্ছ। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকার ইতি মধ্যে সোলার লাইট,পশুখাদ্য বাগান, আবাসস্থল,ও মানুষের নিরাপত্তার জন্য বন বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প ও হাতে নিয়েছে। সোমবার(৭ডিসেম্বর) পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে কাপ্তাই এফডিটিসি ছাত্র রেস্ট হাউজ চত্তরে 'হাতি-মানুষ দ্বন্দ নিরসন ও হাতি সহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এক জনসচেতনতামূলক সভা কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম মাহাবুব উল আলমের সঞ্চালনায় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহানের সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
জনসচেতনমূলক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,কাপ্তাই বন উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালক মোঃ বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কাপ্তাই পাল্প উড বাগান বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ আবুল কালাম,পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগয় কর্মকর্তা (ডিএফও) রফিকুজ্জামান শাহ্‌,কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,সহকারী বন সংরÿক কাপ্তাই মোস্ত্মাফিজুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,কাপ্তাই সহকারী ভ্থমি কমিশন মাঈনুল হাসান চৌধুরী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ,সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল,হেডম্যান থোয়াইঅং মারমা,মাহমুদ উলস্নাসহ প্রমুখ। বক্তব্য প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বলেন.হাতি দেশের সম্পদ,এদের রক্ষা আপনার আমার সকলের দায়িত্ব,আজ আমরা ওদের খাদ্য,বনজসম্পদ উজাড় করার কারনে এরা লোকলয়ে আসছে। এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে সমস্যা করছে।
আমরা বন্যপ্রাণীদের জদি কোন সমস্যা না করি তাহলে কখনও আমাদের সমস্যা করবেনা। বন্যপ্রাণীর খায়না এমন কিছু যেমন মরিচ,লেবুগাছসহ বিবিধ শষ্য রোপন করা হলে লোকালয়ে হাতি আসবেনা। এদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে সকলে মতামত প্রদান করে। বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ্‌ বলেন,ইতি মধ্যে আমরা হাতি লোকলয়ে না আসার ব্যাপারে ৮কিঃমিঃ পযন্ত্ম সোলার ফেনসিলের প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ সোলার ফেনসিল চারদিকে দিয়ে দিলে আলোর কারনে হাতি আর লোকালয়ে আসবেনা। এতে করে হাতি আর মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও দ্বন্দ নিরসন হবে। অনুষ্ঠানে এলাকার বহু গণ্যমান্য, ও জনপ্রতিনিধি লোকজন উপস্থিত ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ