পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডাটা আলাদা সার্ভারে না রেখে নিরাপত্তার স্বার্থে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মেগা ডাটা সেন্টারে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। এই ডাটা সেন্টারে ব্যক্তিগত ডাটাও সংরক্ষণের সুযোগ রেখে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড শীর্ষক কোম্পানির মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন এবং আর্টিক্যাল অব অ্যাসোসিয়েশনের সংশোধিত খসড়ার ভ‚তাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকারদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে বিজয়ের মাসে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিমালাটি অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের একটা করে সার্ভার করে, এখন থেকে কেউ আর সার্ভার করতে পারবে না। সবার ডাটা এই কালিয়াকৈর ডাটা সেন্টারে কোম্পানির আন্ডারে স্টোর করতে হবে। কারণ ওখানে সব সেফটি ও সিকিউরিটি থাকবে। সরকারের কোনো ডাটা আর লোকালি কেউ স্টোর করতে পারবে না। কালিয়াকৈর সেন্ট্রাল ডাটা সেন্টার হচ্ছে সেখানে সবাইকে স্টোর করতে হবে। এটা খুব বড় একটা কাজ হবে। এটার একটা সুবিধা হচ্ছে, এর একটা ব্যাকআপ আছে যশোরে। কোনো কারণে যদি কালিয়াকৈরে ডিজাস্টারও হয়, সব ডাটা আবার যশোরের ব্যাকআপ সেন্টার থেকে উদ্ধার করা যাবে। সবার ডাটা কালিয়াকৈরে ডাটা সেন্টারে রাখার নির্দেশনা ছিল কিন্তু সেটা পুরোপুরি মানা হতো না। স¤প্রতি আমরা দেখলাম কিছু কিছু বড় বড় ডাটা ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু ওটা যেহেতু মেগা সেন্টার, এখন থেকে সব সরকারি ডাটা রাখতে হবে। ৩০০ টেরাবাইট পর্যন্ত ডাটা ওখানে স্টোর করা যাবে। এখন পর্যন্ত ৭ টেরাবাইট পর্যন্ত করা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ইউরোপীয় একজন বড় তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দেখে গেছেন। তিনি বলেন, ইউরোপেও এত বড় ডাটা সেন্টার নেই। আমাদের ডাটাও এখানে স্টোর করবো। বেসরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ের ডাটাও সেখানে সংরক্ষণ করা যাবে। প্রাইভেট সেক্টরের লোকজন অন- পেমেন্টে ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবে। নিজেদের আর সার্ভার করার দরকার হবে না। এই ডাটা সেন্টারে যারা ডাটা সংরক্ষণ করবেন ওই ডাটা সেন্টারের মালিকও ঢুকতে পারবে না, বুঝতেও পারবে না, কিছুই করতে পারবে না। যিনি স্টোর করবেন কেবল তারই এন্ট্রি থাকবে ডাটা সেন্টারে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আপনি আপনার বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে যদি একটা ডাটা সেন্টার করেন, আপনাকে ভেন্ডর আনতে হবে। সেই ভেন্ডর আপনারা ডাটা সেন্টারে ঢুকবে, আপানার স্টোরে ঢুকবে, আপনি যতই বলেন কাজ করার সময় তাকে ফ্রি এন্ট্রি দিতেই হবে। সেজন্য এগুলোর সেফটি-সিকিউরিটি ঠিক থাকে না। আমরা কয়েক মাস ধরে এগুলো হ্যান্ডেল করতে গিয়ে দেখছি, অনেক জায়গা থেকে টাকা চাচ্ছে। এমনকি একশ’ কোটি টাকাও চাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যত ডাটা আছে সবগুলো আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগের অধীন কালিয়াকৈরে মেগা ডাটা সেন্টারে লঞ্চ করার জন্য প্রস্তাব এসেছে। সবার ডাটা এখানে রাখাতে হবে, এমনকি বিদেশিদেরটাও রাখতে পারবে। কিন্তু সেটার জন্য প্রথম একটা অরপারেটিং ফান্ড দিয়ে দিচ্ছে। এরপর থেকে সরকার টাকা দেবে না। তারাই ডাটা স্টোর করে যে টাকা-পয়সা পাবে সেটা দিয়েই মেইনটেইন করবে এবং ভবিষ্যতে এক্সটেনশন করবে। কিন্তু এটার জন্য বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি করতে হবে, আর্টিক্যাল অব অ্যাসোসিয়েশসন লাগবে। গত ফেব্রæয়ারি-মার্চে এটা যখন আসছিল, ওই সময় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু আপত্তি দেয়া হলো। যেহেতু টাকাটা বাংলাদেশ দিচ্ছে, সেজন্য কোম্পানির মালিক কম্পিউটার কাউন্সিল হতে পারবে না, এটা সরকার হতে পারবে। শুরুতে অপারেটিং ফান্ড যেটা ছিল সেটা কম ছিল, ১০ কোটি। সেটাকে ৫০ কোটি টাকা করা হয়। এগুলোর বিষয়ে কিছু কিছু লিগ্যাল আপত্তি ছিল, সেগুলো ফিন্যান্স থেকে ওয়ার্কঅ্যাবল করে দিয়েছি। এখন এটা নিয়ে আসা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন অনুমোদন
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০০২ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ছিল। সেই আইন পরিপূর্ণভাবে বর্তমান সময়ের চাহিদা পূরণ করতে পারছিল না। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের খসড়া করেছে। এ আইন পাস হলে আগের আইন বাতিল হয়ে যাবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নিবন্ধন কীভাবে হবে, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান সংগঠনের নিবন্ধনের বিধান রয়েছে। কাউন্সিলের কার্যকলাপ পরিচালনা, অর্থায়ন, কাউন্সিলের তহবিল ও বাজেট কীভাবে হবে, এসব বিষয় রাখা হয়েছে। আগের আইনকে বদলে এ আইন করা হচ্ছে। আইনে রাজাকারদের তালিকা তৈরির সুযোগ রাখা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, তাদের একটা তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। আগের আইনে এ বিধান ছিল না।
কী ব্যবস্থার সুপারিশ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, এটা ডিপেন্ড করবে কেমন অপরাধ করেছেন, তার ওপর। শুধু সার্টিফিকেট নিয়েছেন, নাকি অন্য সুবিধা নিয়েছেন, নাকি দু’টোই নিয়েছেন বা তার সন্তানরাও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন কি না, আইন অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করা হবে। দন্ডবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজাকারের তালিকা করার বিষয়টি খসড়া আইনে রাখা হয়েছে। আইনে সব বিষয়ে ডিটেইল করা নেই, এটা রুল করবে। স্বাধীনতাবিরোধী বলতে কি বোঝাবে রুলে তা বিস্তারিত বলা থাকবে। আগে আইন হোক, এরপর বিধি করবে। তবে কীভাবে এ তালিকা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশের কথাও খসড়া আইনে বলা আছে। আগের আইনেও এ বিধান ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।