রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউপির বিক্রমপুর মসজিদ-ঈদগাঁহ, কবরস্থান, স্কুল ও মন্দির রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভসহ প্রতিবাদ সভা করেছেন ওই গ্রামের কয়েক শ’ গ্রামবাসী। স্থানীয় প্রশাসন ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিসহ দুর্নীতি দমন কমিশন, নাটোর জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উল্টে গ্রামবাসীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রীস আলী মন্ডল জানান, আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুর রাজ্জাক ভুয়া নাম ও ঠিকানার অজ্ঞাত ব্যক্তির নিকট থেকে একটি ভুয়া দলিল তৈরি মসজিদ-ঈদগাঁহ, কবরস্থান, স্কুল ও মন্দিরসহ ৫৭ একর জমি নিজ নামে করে নিয়েছেন। কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা ও সরকার দলীয় নেতার সহযোগিতায় ভুয়া দলিল তৈরি এবং নামজারী করে জমি দখলের পায়তারা করছে আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুর রাজ্জাক। প্রতিবাদ করতে গেলে মামলা-হামলাসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। ওই গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামান জানান, ভারাটিয়া লোকজন নিয়ে এসে তার পুকুরে জাল নামিয়ে ২ লাখ টাকার মাছ মেরে নিয়ে যায় ও খড়ের পালা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
গ্রাম্যপ্রধান নাসির উদ্দিন খাঁ জানান, মকলেছুর রহমান ও রবিন নামের দুই ব্যক্তিকে দেশের বাইরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে সিংড়া সদরে অবস্থান করছেন।
বিক্রমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মকসেদ আলী মন্ডল জানান, বিক্রমপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, সাতপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকসহ ৫ থেকে ৭ জন মিলে বিক্রমপুর গ্রামের মসজিদ-ঈদগাঁহ, কবরস্থান, স্কুল ও মন্দির এবং খাসজমিতে বসবাসরত ৩২ জন পরিবারের জায়গা নিজের নামে পত্তন করে নিয়ে তাদের উচ্ছেদের পায়তারা করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এড.জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিসহ দুর্নীতি দমন কমিশন, নাটোর জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
গত রোববার বিক্রমপুর গ্রামের কয়েক শত মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ প্রতিবাদ সভা করে। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুর রাজ্জাক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বৈধভাবেই তারা সম্পত্তি ক্রয় করেছেন।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। এ ধরনের কোনো ঘটনা তিনি জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।