পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রংপুর বিভাগে এবারে রেকর্ড পরিমাণ ২৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার কৃষি সহায়তা (বীজ, সার) প্রদান করা করেছে সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৬ জন প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষককে পর্যায়ক্রমে এই সুবিধা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ চাষ বাড়াতে প্রথম বারের মতো কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট-রংপুর জেলার কৃষকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কয়েক দফা বন্যায় এবার আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার কারণেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষক। তাই আসন্ন রবি মৌসুমে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় এবং কৃষকরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারেন এজন্য কৃষি বিভাগ প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছে।
রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় মোট ২৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার কৃষি সহায়তার মধ্যে আছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার বোরো হাইব্রিড বীজ, যা ১ লাখ ৮৫ হাজার কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ৫০ হাজার কৃষক, গাইবান্ধায় ৪০ হাজার, কুড়িগ্রামে ৩৫ হাজার, লালমনিরহাটে ২৫ হাজার এবং নীলফামারীতে ৩৫ হাজার কৃষককে মনোনীত করা হয়েছে। প্রত্যেকে এক বিঘা জমির জন্য দুই কেজি করে বীজ পাচ্ছেন।
পুনর্বাসন কর্মসূচিতে বরাদ্দ হচ্ছে-১১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। মূলত আটটি ফসল (গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, মসুর, খেসারী, টমেটো ও মরিচ) আবাদের জন্য রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন নির্বাচিত কৃষক বীজ ও সার সহায়তা পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ২৪৫ জন কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচিতে বরাদ্দ হচ্ছে-১০৯ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ৯টি ফসল ( বোরো উফশি, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, গ্রীষ্মকালীন মুগ ও পেঁয়াজ) আবাদের জন্য রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলার মোট ৮৯ হাজার ৯শজন নির্বাচিত কৃষক বীজ ও সার সহায়তা পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬শ ৭০ জন কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও প্রণোদনার অংশ হিসেবে শুধু রংপুর জেলার ৪শ জন কৃষককে পেঁয়াজের বীজ ও সার প্রদান করা হবে।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, এবারে প্রথম বন্যা এবং করোনা ভাইরাসে এ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য কয়েক দফায় বিপুল পরিমাণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বীজ ও সার সহায়তা পাচ্ছেন। তবে একজন কৃষক যেকোনো কর্মসূচির শুধু একবার সহায়তা পাবেন। কেউ যেন একাধিক অথবা অকৃষক যাতে সরকারি সহায়তা না পায় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবারই প্রথম শুধু রংপুর জেলার ৪০০ জন কৃষককে বীজ ও সার সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।