পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় রিট করা হয়েছে। রিটে দেশের সকল ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট উত্তম লাহেরি রিটের পক্ষের আইনজীবী। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহয় বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে।
রিটে বঙ্গবঙ্গন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরণের নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবণতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সাথে ভাস্কর্য নিয়ে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রিটে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়েছে।
উত্তম লাহেরি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার প্রতীক। তার ভাস্কর্য অরক্ষিত থাকবে এটা হতে পারে না। আমরা রিটে বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা চেয়েছি।
প্রসঙ্গত: গত শুক্রবার কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৬ মিনিট। দুজনই দাড়িওয়ালা। টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দু’জনের মধ্যে একজনের পিঠে ব্যাগ ঝোলানো। ওই দু’জন বাঁশ বেয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে উঠে হাতে থাকা লাঠি অথবা লোহা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করছে।
মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে তারা নির্বিঘেœ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদ’র ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। পরে হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল মামুনুলের। কিন্তু স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে তাকে ছাড়াই মাহফিল হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধিতাকারীদের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।এই গোষ্ঠীর পেছনে বিদেশী মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমালোচনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।