Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে গার্মেন্টস কোম্পানির নামে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ছোটভাইয়ের শাস্তি চাইলেন বড়ভাই!

শেরপুর জেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৩৫ পিএম

গার্মেন্টস কোম্পানির নামে অর্থ আত্মসাৎ দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে ছোটভাই মোঃ এরশাদ আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন বড় ভাই মোঃ আব্দুস সাত্তার। ৬ডিসেম্বর রবিবার শেরপুর জেলা সদরের বাজিতখিলা ইউনিয়নের ছাত্তারকান্দি এলাকার বাসিন্দা বড়ভাই আব্দুস সাত্তার সাংবাদিকদের লিখিতভাবে ওইসব অভিযোগ তুলে ধরেন। ওইসব প্রতারণার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার-শালিস ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও সুষ্ঠু সমাধান পাননি বলেও জানান তিনি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ২০০২ সাল থেকে সদর উপজেলার বাজিতখিলা বাজারে আইসক্রিম, দইয়ের ডিলারশিপ ও মনোহারি ব্যবসা করতেন। তার সহোদর ছোটভাই এরশাদ আলী রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে গার্মেন্টস ব্যবসায় করার সুবাদে সে আব্দুস সাত্তারকে আইসক্রিম ব্যবসা বাদ দিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসায় মুনাফার প্রলোভন দেখায়। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০০৮ সাল থেকে ঢাকায় কোনাবাড়ী আমবাগানে তৃপ্তি নাশামনি নামে যৌথভাবে একটি মিনি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন তারা। ওই ব্যবসায় আব্দুস সাত্তার বাড়ি থেকে ১৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। ওই গার্মেন্টসে তৈরি মালামাল এরশাদ কিছু নগদে ও বেশিরভাগ অংশ বাকি নিয়ে বঙ্গবাজারে বিক্রি করতো। পরে সাত্তারের ব্যবসায় ঘাটতি দেখা দিলে তিনি বাড়ি থেকে জমিজমা-গাড়ি বিক্রি করে আরও ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিনিয়োগ করেন। এর কিছুদিন পর যৌথভাবে তারা আমবাগানে ৬৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ১০ শতাংশ জমিও কেনেন। কিন্তু সেই জমি কৌশলে শুধু নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন ছোটভাই এরশাদ। পরে অন্যত্র জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে গার্মেন্টেসের লভ্যাংশ ও পুঁজি দিয়ে সেখানে ৮ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ৫ তলা বাড়ি করেন এরশাদ। পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সাত্তারকে জমি কিনে দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো কোন হিসাব না দিয়েই ঢাকার গার্মেন্টস থেকে বের করে দেন। সেইসাথে গুন্ডাপান্ডা দিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর কারণে তিনি শেরপুরে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। পরে স্থানীয়ভাবে বিচার-শালিস ও থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়। নিজের ছোটভাইয়ের এমন প্রতারণার কারণে তিনি বর্তমানে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এখন তিনি বর্তমানে ৩ ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই এ বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার ন্যায্য অধিকারটুকু ফেরত চান।
তবে এ বিষয়ে সাত্তারের ছোটভাই এরশাদ আলী জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ