বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও গণনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সন্দেহযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। নির্বাচন পরবর্তী পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ না করলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে সুজন।আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়,এবারের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে হয়েছে। গ্রেপ্তার, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরণের চাপের কারণে যারা প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তারা অনেকে প্রার্থী হতে হতে পারেননি। ভয়ভীতির কারণে অনেকে ভোট দিতে পারেনি। এবার মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল গড়ে ৪.০৩ জন। যা আগের নির্বাচনের চেয়ে কম। এছাড়া নির্বাচনে ভোট প্রদান, গণনা প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, সন্দেহযুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। নির্বাচনের ভোট প্রদানের হার ছিল ৭২.৯৩ শতাংশ। অথচ ২০১১ সালের নির্বাচনে এ হার ছিল ৫৮.৬৬ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ৫টিতে ৯০ এবং ৭৪টি পৌরসভায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা অনেক অভিজ্ঞ পর্যবেক্ষকের মতে ছিল অবিশ্বাস্য।ফলে সার্বিক বিবেচনায় পৌর নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা দূরুহ। এ নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মানের নিন্মমুখিতার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,বিগত পৌরসভা নির্বাচনে ১৭ ভাগ প্রার্থী বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ৪০.৭৭ শতাংশ প্রার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছিলেন।
সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান,সম্পাদক ড.বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি মুসবাহ আলীম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।