বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস সনাক্তে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থাপিত দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম পিসিআর ল্যাবটি গত ৩ দিনেও সচল হয়নি। ফলে ভোলা বাদে দক্ষিণাঞ্চলের ৫টি জেলায় করোনা রোগী সনাক্তের কাজটি গত তিনদিন প্রায় বন্ধ। বৃহস্পতিবার প্রথম রউন্ডে ৯৪টি নমুনা পরিক্ষার পরেই পিসিআর মেশিন বিকল হয়ে পড়লে সংগ্রহীত অবশিষ্ট নমুনাগুলো ভোলা ল্যাবে পাঠান হলেও শণিবার দুপুর পর্যন্ত কোন ফলাফল আসেনি। শণিবার দুপুরে আরটিÑপিসিআর মেশিনটি মেরামতে ঢাকা থেকে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান আসলেও তা সচল হয়নি। ফলে রবিবার মেশিনটি ঢাকায় পাঠান হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কমার দাশ জানিয়েছেন, মেশিনটি মেরামত হয়ে না আসা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে সংগ্রহীত নমুনা সমুহ ঢাকায় পাঠাতে হবে। দিন দশেকের আগে মেশিনটি সচল হয়ে বরিশালে ফেরারও কোন সম্ভবনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর প্রারম্ভে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম আরটি পিসিআর ল্যাবটি বিকল হয়ে পড়ায় নমুনা পরিক্ষায় একটি বড় ধাক্কা এল বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন।
গত ৯ এপ্রিল দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম পিসিআর ল্যাবটি বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থাপনের পরে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার নমুনা পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩শ নমুনা পরিক্ষা সম্ভব হলেও প্রথম দিকে আগ্রহী রোগীর সংখ্যা ছিল ৭-৮শ। পরবর্তিতে ভোলাতে আরো একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলেও সেখানে গড়ে ৪০ জনের বেশী নমুনা পরিক্ষা হয়নি। তবে সাম্প্রতিককালে মানুষের মধ্যে নমুনা পরিক্ষার আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বরিশালে আরো একটি মেশিন সহ পটুয়াখালীতেও ভিন্ন একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবী দীর্ঘদিনের। কিন্তু তা কখনোই বিবেচনায় নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে পটুয়াখালীতে শণিবার থেকে রেপিড টেষ্ট-করোনা এন্টিজেন পরিক্ষা শুরু হয়েছে। তবে সেখানে নমুনা পরিক্ষার জন মাত্র ৫শ কীট পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এ লক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্নের কথাও জানিয়েছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস। তবে আরো কীট পাবার কথাও জানান তিনি। বিভাগীয় পরিচালকের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি এখনো যতটা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে, তা বরিশাল মহানগরীতে। এ অবস্থায় বরিশালের পিসিআর ল্যাব বিকল হবার বিষয়টিকে যথেষ্ঠ দূর্ভগ্যজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। গোটা বিভাগে যে পরিমান মানুষ প্রতিদিন সংক্রমিত হচ্ছে, তার অর্ধেকেরও বেশী এ নগরীতে। অথচ এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬% লোকের বাস এ নগরীতে। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সকলকে অধিকতর সচেতন হবার কোন বিকল্প নেই। বিভাগীয় পরিচালক সহ স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র এ লক্ষে নগর প্রশাসনকে সমন্বিত ভ’মিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।