বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরকীয় জড়িয়ে হবিগঞ্জের এক গৃহবধূ ৩ সন্তানের মুখে বিষ তুলে দেন।
জানাযায়, পরকীয়া করতেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল-চারিনাও গ্রামের গৃহবধূ ফাহিমা খাতুন। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার তিন সন্তান। প্রেমিককে কাছে পেতে তাই জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সন্তানদের পান করিয়ে দেন তিনি। শিশু তিনটির মধ্যে একজন মারা গেছে।
মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফাহিমা খাতুন। তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম একজন ইজিবাইক চালক। আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান শেষে ফাহিমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলাম জানান, একই গ্রামের পাশের বাড়ির আক্তার মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া করতেন ফাহিমা খাতুন। একপর্যায়ে তারা ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাহিমার তিন সন্তান। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে ফাহিমা ২টি লিচুর জুস কিনে এনে প্রেমিক আক্তার মিয়ার হাতে দেন। আক্তার মিয়া জুসে বিষ মেশান। পরে আক্তার মিয়া ও ফাহিমা খাতুন তিন সন্তানকে উঠান থেকে ডেকে এনে জুস খাওয়ান।
জুস খাওয়ার পরই বিষক্রিয়ায় ফাহিমার তিন শিশু সন্তান ছটফট করতে থাকে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় তিন শিশুকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৭ বছরের মেয়ে সাথী আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর দুই সন্তান তোফাজ্জল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়।
এরপরই ফাহিমা ও আক্তারের পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় ফাহিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্ত্রী ফাহিমাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।