Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হারিয়ে যাচ্ছে নলেন গুড়ের পাটালী

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে : | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মাগুরায় গাছির অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুর রসের ঐতিহ্য। এখন আর আগেরমতো পাওয়া যায় না নলেন গুড়ের পাটালি। মাগুরা জেলার শ্রীপুর, মহম্মদপুর, শালিখা ও মাগুরা সদর উপজেলার সকল গ্রামই বর্তমানে খেজুর গাছ শুন্য হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, শরৎকাল আসতে না আসতেই আগে গ্রামগঞ্জে খেজুর গাছ তোলার ধুম পড়ে যেত। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে এসব এলাকায় অস্থায়ী নিবাস গড়ত। তাদের সঙ্গে থাকত রস থেকে গুড় তৈরির নানা সরঞ্জাম। তারা বিভিন্ন আকৃতির খুরি পাটালি, প্লেট পাটালি, নারিকেল পাটালিসহ আকর্ষনীয় ও সুমিষ্ট পাটালি তৈরি করত।
এ ছাড়া মাটির তৈরি ভাড় ভর্তি নালি গুড়, ঝোলা গুড় ও দানা গুড় তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করত। দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করত। কিন্তু এখন কমেছে এই আয়োজন এবং উদ্যম। এখন যা পাওয়া যায় তা চিনিতে সয়লাব। শীত মৌসুম এলেই গ্রাম এলাকায় গুড়ের তৈরি পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যেত। পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে গাছি গাছ থেকে রস পেড়ে তা থেকে গুড়, পাটালিসহ নানা ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি করত গৃহিণীরা। কিন্তু বর্তমানে নানা স্থানে শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার কারণে এবং গাছির অভাবে সেই খেজুর বাগান আর দেখা যায় না।
বৃদ্ধ গাছি আনোয়ার জানান, আগে অসংখ্য খেজুর গাছ ছিল এলাকায়। এখন আর নেই। সময়ের পরিবর্তনে এখন গুড় কিনে খেতে হয়। অনেক গাছিরা খেজুর গাছ কাটতেন। এদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। যারা জীবিত আছেন তারা এখন আর গাছ কাটেন না। এখন বিকেল হলেই গাছির গাছ কাটার ব্যস্ততা লক্ষ করা যায় না। রাস্তার ধারের গাছগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় কত বছর গাছগুলো কেউ কাটে না। কাটার জন্য গাছির অভাবে গাছগুলো জঙলে পরিণত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ