পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে আবারো ধর্মব্যবসায়ীদের মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল। দেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে একটি গোষ্ঠীর বিরোধিতা প্রসঙ্গে ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই যুগ যুগ ধরে ধর্মব্যবসায়ীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এবারো তাই করছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ন কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ধর্মান্ধরা দল কিংবা ব্যক্তির নয়, দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান বিরোধীদের সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, অসা¤প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করা হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার কিংবা আপোষ নয় , মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুমকী দিচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় এই আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়–য়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।