Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আটকে রেখে গণধর্ষণ

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

আটকে রেখে আটদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সিলেটে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক জাকির হোসেনসহ (২৪) দুইজনকে আটক এবং ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের অভিনয় করে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০ নভেম্বর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্বপেকেরখাল গ্রামের ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান জাকির হোসেন। ওইদিন রাত ১০টার দিকে কিশোরীর বাবা-মা তাদের মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পরবর্তীতে জানতে পারেন জাকির তাদের অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে ওই কিশোরীর বাবা জাকিরকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শফিক ইসলাম খান ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং জাকিরকে ধরতে গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। অবশেষে গত রোববার রাতে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার সিলেট শহরতলির কল্লোগ্রাম এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে শাহপরাণ (রহ.) থানার পীরের চক গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে জাকির হোসেন ও চেরাগ আলীর ছেলে আলী হোসেনকে আটক করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানায়, জাকিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০ নভেম্বর রাতে হঠাৎ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে জাকির তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে বলেন। পালিয়ে না গেলে জাকির আত্মহত্যার হুমকিও দেন। পরে সে ভয় পেয়ে কাউকে কিছু না বলে জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ওইদিন রাতে চেঙ্গেরখাল নদীর পারে নিয়ে ৪-৫ জন যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন জাকির। ওই যুবকরা জাকিরের বন্ধু বলে পরিচয় দেন। পরে রাতেই তার চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে সবাই মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত আটদিনে তারা সবাই একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়াও পানির সঙ্গে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাইয়েছে।
এ ব্যাপারে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাটের পূর্বপেকেরখাল গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ করেন। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি তদন্তের জন্য জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। এরই আলোকে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ