বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো বখাটে তরিকুল ইসলাম। ওর যন্ত্রণায় মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হতো না। এক বছর আগে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই। সেই থেকেই তরিকুল আমার ওপর ক্ষিপ্ত। ঘরে ডিল মারা, রাস্তায় গালাগাল, হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়াসহ নানাভাবে আমাকে অপদস্ত করে তরিকুল। আমি এর প্রতিবাদ করায় সে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ওর ভয়ে আমি পুলিশকে ঘটনা জানাইনি। বখাটের হামলায় আহত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুলু বেগম (৫০) বিলাপ করে এ কথাগুলা বলছিলেন। মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি গ্রামের বুলু বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম।
জানা যায়, কুলকাঠি গ্রামের দিনমজুর এনায়েত উদ্দিন হাওলাদার অসুস্থ হয়ে শয্যাশয়ী থাকায় স্ত্রী বুলু বেগম তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন। বড় ছেলে রেজাউল ইসলাম ঝালকাঠি শহরে শপিংব্যাগ বিক্রি করেন। তিনি থাকেন শহরের কলেজ মোড় এলাকায়। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে দিলে সে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। ছোট মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন বুলু বেগম। মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একই গ্রামের আশ্রাফ আলী খলিফার ছেলে তরিকুল ইসলাম খলিফা উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বখাটে হওয়ায় তাঁর কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি বুলু বেগম। তিনি তরিকুলের ভয়ে গোপনে গত বছরের শেষের দিকে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় তরিকুল। সেই থেকে বুলু বেগমের ঘরের চালে ডিল ছোড়া, রাস্তায় দেখা হলে গালাগাল করা ও হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যায় তরিকুল ইসলাম। শনিবার আবারো বুলু বেগমের কয়েকটি হাঁস ধরে নিয়ে গেলে তরিকুলের কাছে তা জানতে চায় সে। এ নিয়ে কথার কাটাকাটি হলে তরিকুল রাতে লাঠি নিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে তাকে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় রবিবার সকালে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুলু বেগম বলেন, আমাকে ইচ্ছামত মারছে। লাঠি দিয়ে এমনভাবে পিটিয়েছে, এখন আমি দাঁড়াতে পারছি না। কোমরে ও পায়ে বেশি আঘাত লেগেছে। পুলিশকে বিষয়টি বলেছি।
বুলু বেগমের ছেলে রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার মা বাড়িতে বাবার সঙ্গে বসবাস করেন। বাবা অসুস্থ, তাই মা হাঁস-মুরগি পালন করে সংসার চালান। বখাটে তরিকুল প্রায়ই সেই হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যায়। এটা জানতে চাইলে, মাকে পিটিয়েছে সে। মা উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার সঙ্গে বুলু বেগমদের কোন বিরোধ নেই। তাকে কে মেরেছে তা জানি না।
এ ব্যপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।