পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমাদের বক্তব্য মূর্তি-ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে, কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নেতা ও স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুসলিম নেতা হিসেবে পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা করি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। কোনোভাবেই এমন একজন মরহুম জাতীয় নেতার বিরুদ্ধাচারণ করি না, করা সমীচীনও মনে করি না।
গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা উপমহাদেশের প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ও বাংলাদেশের একজন জাতীয় নেতা মরহুম শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক। যিনি চারদলীয় জোটের শীর্ষ চার নেতার অন্যতম একজন ছিলেন। তার দেয়া আদর্শিক পাঁচ দফার সঙ্গে একমত হয়েই ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছিল। স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চালানোই আমার ব্রত। কোনো ষড়যন্ত্র অথবা গোপন আঁতাতের মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র কিংবা সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি আমাদের নেই।
তিনি আরো বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এজন্য জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অমূলক ও কল্পিত অভিযোগ আমার ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমি আশা করব অনভিপ্রেত সব অপতৎপরতা বন্ধ হবে। একই সঙ্গে শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.) ও সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) পীর সাহেব চরমোনাইয়ের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও বিষোদগারে ব্যাপারে প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, আলেম-ওলামা ও ইসলামবিরোধী এমন বহুমুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মপ্রাণ জনতা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। গত ২৭ নভেম্বর বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম থেকে এমনই একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। স্বত:স্ফূর্ত তৌহিদী জনতার সেই মিছিলটি শান্তিনগরে পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ২৩ জন মিছিলকারীকে আটক করে। আমরা আটককৃত সকল বন্দীদেরকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দাবি জানাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি করি না। মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়ার বক্তব্য আমি দেইনি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মিত হলে তিঁনি মহান আল্লাহর কাছে লজ্জিত হবেন। আমরা চাইনা মরহুম এ জাতীয় নেতা আল্লাহর কাছে লজ্জিত হন। তিনি বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুটি ঈমানের প্রশ্ন। ভাস্কর্য নির্মিত হলে রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধে যাব না। ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলেই যাবো।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলনা আজিজুর রহমান হেলাল, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান, মুফতি নূর মোহাম্মদ আজিজী, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা ছানাউল্লাহ ও মাওলানা আতিক উল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।