পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নবনিযুক্ত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। এই জিনিসটা যখন আমরা বোঝাতে সক্ষম হব তখন সবকিছুর একটা সমাধান পেয়ে যাব। ভাস্কর্য সরানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের দাবির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে, কিছু কিছু লোক কোনো কোনো সময় শুধু বাংলাদেশে নয়; সারা বিশ্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কিছু অঘটন ঘটায়। যখন কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন সমাধানেরও একটা ব্যবস্থা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয়ে আমি নতুন, আমি এ বিষয়গুলো চিন্তা করব, ভাবব এবং পরামর্শ করব কীভাবে এটা করলে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এবং সার্বিক দিক থেকে আর যেন কেউ পরবর্তীতে সুযোগ না পায় সেগুলো আমাদের চিন্তায় রাখতে হবে। আমি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। গতকাল রোববার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৪ নভেম্বর বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টর কাছে প্রতিমন্ত্রীর শপথ নেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল। এ সময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, যুগ্ম সচিবগণ, পরিচালক হজ মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো। এ ক্ষেত্রে সবার আস্তরিক সহযোগিতা চাই। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব স¤প্রদায়ের মধ্যে স¤প্রীতি গড়ে তোলা। ধর্মীয়, সামাজিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।’ তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হজ ব্যবস্থাপনার যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ, মঠ-মন্দির, প্যাগোডা সংস্কার ও উন্নয়ন; মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডাভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফরিদুল হক খান বলেন, ‘আগামী দিনে আপনাদের সবার সহযোগিতায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি বলেন, আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি যিনি আমাকে তার মন্ত্রিসভার সদস্য করে শুধু আমাকেই নয় বরং জামালপুর-২ ইসলামপুরের সর্বস্তরের জনগণকে তিনি সন্মানিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।