Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৌরবর্জ্য দিয়ে পুকুর ভরাট

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসদরস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ময়লা দিয়ে খাল পাড়ের পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ৮০ দশকে বারইয়ারহাট-মহিপাল সংযোগ সড়ক চালু করার সময় মহাসড়ক তৈরিতে সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ৪ একর খাল পাড়ের দিঘী কাটা হয়। যা বারইয়ারহাট পৌরসভার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুঃসময়ে উক্ত পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। ইতোপূর্বে বারইয়ার ডিগ্রি কলেজের আওতায় উক্ত পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেয়া হতো। গত ১৪২৭ বাংলা সন থেকে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র মৌখিকভাবে মাছ চাষের জন্য ইজারা নেয়ার কথা বলে। কিন্তু তা না নিয়ে উক্ত পুকুরে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করার অপকৌশল অভিযোগ রয়েছে। পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে বর্তমানে পুকুরটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি বারইয়ারহাট বাজারে রাতে চয়েস বাসস্ট্যান্ড মার্কেটে পাশের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসলেও পানি না পাওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হতে হয়। যদিওবা পার্শ্ববর্তী প্রায় ৪ একরের খাল পাড়ের পুকুরটি ছিল। কিন্তু ময়লা আর্বজনা জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি নেয়ার জন্য পুকুর নামতে পারেনি। ফলে উক্ত মার্কেট দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনা এর পূর্বেও ঘটেছে।
এ ব্যাপারে বাইয়ারহাট ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল আলমগীর হোসেন জানান, মীরসরাই এমপি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে উক্ত পুকুরটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়। যা ভূমি মন্ত্রণালয় রোর্ডস অ্যান্ড হাইওয়ে লিখিতভাবে লীজ নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ আবেদন করে। তিনি আরও বলেন, কলেজ গর্ভানিং বোর্ডের সাবেক সভাপতি মিজান চেয়ারম্যান ইতোপূর্বে এক লাখ টাকা পুকুরে ইজারা দিয়ে উক্ত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, জলাশয় ভরাটের ইখতিয়ার কারো নেই। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে সওজ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের পুকুর। পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা ফেলানোর নিদিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় পরিচ্ছন্নকর্মীরা তাদের সুবিধার্থে তারা ঐ পুকুরে ময়লা আর্বজনা ফেলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ