পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই। কোনো অপশক্তি নেই এটা প্রতিহত করার। যারা এই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং জনগণ প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ।
১৯ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ আয়োজিত প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের স্মরণ সভায় শনিবার সকালে এ সব কথা বলেন তিনি। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন আবু আহম্মেদ মান্নাফী।
হানিফ বলেন, “ভাস্কর্য নিয়ে কিছু আলেম, ওলামা-মাশায়েখ উগ্র কথা বলছেন। তারা নাকি ইসলামের ধারক-বাহক। ইসলামে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ তারা শান্তির ভাষায় কথা বলছে না। তাদের যে উগ্রতা সেটা ইসলামের কথা হতে পারে না। শান্তির ধর্মের কথা হতে পারে না।”
ওলামা-মাশায়েকদের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি আরও বলেন, “আপনারা কোন ইসলামের কথা বলছেন? আপনাদের এই ভাষা জনগণ বরদাশত করবে না।”
হানিফ বলেন, “ওলামা-মাশায়েকরা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্র-জঙ্গিবাদী টাইপের কথা বলছেন। ইসলাম সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ভাষা নয়।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “এ দেশে সরকার আছে, জনগণ আছে। তাদের শক্তি সম্পর্কে আপনাদের অবহিত থাকতে হবে। উগ্রবাদী-সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কথা বলে শ্রদ্ধা ধরে রাখতে পারবেন না। জনগণ বরদাশত করবে না। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রাজাকারদের হুমকি শোনার জন্য এ দেশ স্বাধীন হয় নাই। এটা পরিষ্কার মনে রাখবেন। অযথা মাঠ গরম করার চেষ্টা করবেন না।”
ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইরান, জর্ডান, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে দারি করে বলেন, “ওই সব দেশে ভাস্কর্য নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।”
বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচার ও অভিযোগে ভরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।