পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণশক্তি কৃষিতে বিরাজ করছে স্বস্তিদায়ক অবস্থা। মাঠে মাঠে বিভিন্ন ফসলের সবুজের অপরূপ সৌন্দর্য। ফসল উৎপাদনে বিরাট সফলতা আনতে সক্ষম হয়েছে কর্মবীর কৃষকরা। মূল্যও ভালো পাচ্ছেন। বাজার ব্যবস্থাপনায় ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা। যার জন্য কৃষক পাচ্ছেন কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য। এতে কৃষকরা খুশি। সচ্ছলতার সোপানে দাঁড়িয়ে দেখছেন সোনালী স্বপ্ন। শক্তিশালী হচ্ছে কৃষিনির্ভর অর্থনীতির ভিত।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতি বিশারদগণ বলছেন, কৃষিখাতে সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপে দেশে কৃষিজাত আয় বৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিতে আসছে শতভাগ সাফল্যও। সরকারের নির্দেশনাও ছিল কৃষিনির্ভর তৃণমূল অর্থনীতির কাঠামো মজবুত করার। বাস্তবে সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুধু কৃষক নন, শ্রমিকসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার খেটে খাওয়া মানুষের হাতে এখন দু’টো পয়সা আসছে। দিনে দিনে তারা সাবলম্বী হচ্ছেন। ঘোর অন্ধকার কেটে আলোর মুখ দেখছেন তারা। এই চিত্র যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মাগুরাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের। গ্রামের দৃশ্যও সাম্প্রতিককালে বদলে যাচ্ছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে আড্ডা এখন খুব কম দেখা যায়। গ্রাম মাঠে কর্মমুখর পরিবেশ। যিনি যেমন পারছেন মাঠে বিভিন্ন ফসল ও বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, হাঁস-মুরগী, গরু ছাগল পালন, মাছ চাষসহ বিভিন্ন কাজকর্মে ব্যতিব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। আর্খিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের বাবুল আখতার, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ইউসুফ আলী সরদার ও কুষ্টিয়ার কামারখালীর রমজান আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার পাটের মণ সর্বোচ্চ ৩ হাজার, ধান প্রতিমণ ১হাজার ২শ’ ৫০টাকা, শিম প্রতি কেজি একশ’ ৫০ টাকা, রজনীগন্ধার একশ’ স্টিক এক হাজার ২শ’ টাকা, পিংক রঙের গøাডিওলাস ফুল ১শ’ ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা, খেজুরের গুড়ের কেজি ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু, মরিচসহ সব কৃষি পণ্যে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। হয়ে ফুরফুরে মেজাজে। ফলে পরবর্তী ফসল উৎপাদনে তাদের আগ্রহ আরো ত্বরান্বিত হচ্ছে। মাছের রেণু পোনা ও সাদা সোনাসহ মাছ উৎপাদন এবং অন্যান্য সেক্টরের উৎপাদন ও বিকিকিনি হচ্ছে ভালো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় ভ‚মিহীন, প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, মাধ্যম ও বড় চাষির সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৪ লাখ ১২ হাজার ৬৫ হেক্টর। এ অঞ্চলে ৭ হাজার ৮৩০টি গ্রাম রয়েছে। প্রতিটি গ্রামেই গড়ে প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি তাদের হাতে। অঞ্চলটির বিশেষত্ব সিংহভাগ ভূমি উচু ও বন্যামুক্ত। বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য মাটি সমৃদ্ধ। এমন কোন গ্রাম খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মানুষ কোন না কোন কাজের সাথে জড়িত নয়। সবখানেই কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল সেক্টরের সাথে জড়িতরা একটা কর্মমুখর হয়ে উঠেছে।
সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, সাধারণত কৃষিপণ্য উঠার সময় মূল্য পান না কৃষক। ধান, পাট ও সবজিসহ কৃষিপণ্য উঠার মুহূর্তে এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন। যশোর এম এম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর নাসিম রেজা বললেন, কৃষিপণ্যের বর্তমান মূল্যে খুশি চাষিরা। এতে কৃষিনির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির পারদ উর্ধ্বমুখী।
কাল পড়ুন কৃষিতে স্বনির্ভর নোয়াখালী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।