বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রবীণ নাগরিকদের সম্মানে রাজশাহী মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ডে প্রবীণ সমাবেশ ও বয়স্ক ভাতার বই বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে শিরোইল কলোনী স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে ১৩৭জন ব্যক্তির মাঝে বয়স্ক ভাতার বই বিতরণ করেন। রাসিকের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এনেছে সরকার। বাংলাদেশে ৪৯ লাখ বয়স্ক ব্যক্তিকে বয়স্কভাতা প্রদান করা হচ্ছে। রাজশাহী মহানগরীতে ১৫ হাজার ৭২১ জন পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা। দেশে ১৮ লাখ মানুষ প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। রাজশাহী মহানগরীতে ৪ হাজার ৭৯১জন পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ভাতা। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
মেয়র বলেন, করোনা মহামারিতে বিশে^ অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বড় বড় রাষ্ট্র করোনা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমান রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় অর্জন করেছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও পেয়েছে। বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন চোখে পড়ছে, এটি জনগণের প্রতি সরকারের আন্তরিকতার একটি প্রমাণ।
সিটি মেয়র লিটন বলেন, ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেগুলো পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন, প্রকল্পের বিভিন্ন কাজের দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি শিল্পাঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিসিক শিল্পনগরী-২ এর ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠার কাজও এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বাসযোগ্য ও শান্তির শহর হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর সুমান দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এই অর্জন ধরে রেখে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এ কাজের আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান তুহিন, জোন-৭ এর কাউন্সিলর উম্মে সালমা বুলবুলি। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও শাহ্মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আখতারুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন ও বাদশা শেখ, শাহ্মখদুম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ রেজাউল হক মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড (উত্তর) আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ হাসেন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবর আলী প্রমুখ। সমাবেশে ২২টি সজিদের ইমাম, ২১টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সহ¯্রাধিক প্রবীণ ব্যক্তি উপস্তিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।