পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমলাতন্ত্র চর দখলের মতো চিকিৎসক ক্যাডারের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে নিচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দূর্বলতা চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপিয়ে আমলাতন্ত্র সরকার জনগণ ও চিকিৎসকদের মুখোমুখি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগ পাওয়া সর্বোচ্চ কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত বিভ্রানিন্তমূলক ও অজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্য করছেন। যা চিকিৎসা পেশার মান মর্যাদাকে ক্রমাগত আঘাত করার শামিল। তিনি অভিভাবক না হয়ে শাষকের ভাষায় কথা বলেন। মহামান্য আদালতের রায় থাকার পরেও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়নে বাধা দিয়ে আমলাতন্ত্র ক্রমাগত চিকিৎসক নিগ্রহের পথকে সুগম করে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চিকিৎসক নিগ্রহ, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, চিকিৎসক গ্রেফতার, এমনকি রোগীর স্বজনের আঘাতে চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটছে। চিকিৎসাধীন কোন রোগীর মৃত্যু ঘটলেই রোগীর স্বজন এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিউৎসাহী কর্মকান্ডে চিকিৎসকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। যা নির্বিঘœ চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা অপকর্মকারীদের উৎসাহিত করছে। রোগীর স্বজনদের সাথে আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী কোন কোন ক্ষেত্রে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নিজেরাই চিকিৎসক নিগ্রহে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানি আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য চিকিৎসকদের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এধরনের অন্যায় আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। এভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময় দেশের চিকিৎসা সেবা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই বিলম্ব না করে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, প্রতিটি চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা মনিটর করে আঘাতকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও অন্যায়ভাবে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক চিকিৎসক গ্রেফতারের ঘটনা বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যে আমরা বিস্মিত। ডাঃ মামুনের অস্বাভাবিক গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি যে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন তা প্রতিয়মান হচ্ছে। আমরা আশা করব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দিয়ে নিজেদের কাজ ও দায়িত্বের প্রতি আরো মনোযোগী হবেন। অর্বাচীনের মত চিকিৎসকদের চিকিৎসা শিখিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থেকে স্ব-স্ব কাজ করলে জাতি উপকৃত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।