Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাঙামাটি জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

উন্নয়ন প্রকল্পগুলোসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে রাঙামাটি জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১২টা থেকে পৌনে ১টায় জেলা পরিষদে এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদক রাঙামাটিস্থ সমন্বিত কার্যালয়ের দুজন সহকারি পরিচালক। এ সময় নিজ কার্যালয়ের পাশের কনফারেন্স রুমে দুদক কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে কথা বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ সময় গণমাধ্যমের সাথে কোন পক্ষই কোনো ধরনের কথা বলেননি।
দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রাঙামাটি জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জেলার বরকল, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক বছরে বাস্তবায়ন করা ও বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো নিয়ে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্র্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদও প্রকাশ হয়। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে উক্ত অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তে রাঙামাটি জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে রাঙামাটিস্থ দুদক সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দিয়ে পত্র প্রদান করা হয়। সেই পত্রের আলোকেই সোমবার বেলা পৌনে বারোটার সময় দুদকের সহকারি পরিচালক জিএম আহসানুল কবির ও সহকারি পরিচালক আবুল বাশার এর নেতৃত্বে রাঙামাটি জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, অভিযানের শুরুতে দুদক কর্মকর্তাগণ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানে মিটিং চলছে জানিয়ে পাশের কনফারেন্স রুমে অপেক্ষার অনুরোধ জানানো হয়। বিশ মিনিট পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা নিজে সেই রুমে এসে দুদকের টিমের সাথে কথা বলেন। এ সময় তার কাছে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এবং বাস্তবায়ন হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থ বরাদ্দ, প্রাক্কলন, বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন এর কপি চাওয়া হয়।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, তার অফিসের প্রধান মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সাইট পরিদর্শনে গিয়েছেন তারা আসলে আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দুদকের কাছে পাঠানো হবে বলে আশ্বস্থ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ