Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারায় সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশের প্রথম হাইড্রোলিক রাবার ড্রাম বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়ায় ও কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন হওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সবজি চাষের উপযোগি। তাই ফলনও ভালো পাওয়ার আশা করছে কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আনোয়ারায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩৫ জাতের সবজি উৎপাদন করে কৃষকরা। এ সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় চাহিদাও বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বরুমচড়া ও বারখাইন ইউনিয়নের চাষিরা সবজি ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ মরিচের চারা রোপন করছে। আবার কেউ আগাছা নিড়ানি দিচ্ছে। গ্রামে তিন ফসলি জমি ছাড়াও শঙ্খের চরে সবজি চাষ করছেন তারা। কৃষকরা জানান, বরুমচড়া ভরা শঙ্খের খালে দেশের প্রথম হাইড্রোলিক রাবার ড্রাম বাঁধের কারণে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়ায় বরুমচড়া, বারখাইন ও বটতলী ইউনিয়নে সবজি চাষ দ্বিগুণ বেড়েছে। কৃষক করিম উদ্দিন জানান, এক সময় পানির অভাবে সব জমিতে সবজি চাষ করা সম্ভব হতো না। এখন যে কোনো ধরনের জমিতে সবজি চাষ করা সহজ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকারের সবজির চাষ করেন কৃষকরা। এসব সবজির মধ্যে মরিচ ২শ’ ৫৫ হেক্টর, আলু ২৫ হেক্টর, শিম ২শ’ ৬৫ হেক্টর, টমেটো ৮৫ হেক্টর ও বেগুন ১৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া উপজেলার বারখাইন, বরুমচড়া, বৈরাগ, চাতরী, বারশত, রায়পুর, জুঁইদন্ডি, বটতলী, পরৈকোডা, আনোয়ারা সদর ও হাইলধর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ধানি জমিতে ফলানো হচ্ছে বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, মুলাশাক, ঢেঢশ, চিচিঙ্গা, পালংশাক, মরিচ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, শশা, বেগুন, আলু। অনেক চাষিরা এখন আমন ধান কাটার পর জমিতে সবজি লাগাচ্ছেন। কম খরচে ভালো দাম ও বেশি লাভ আসায় চাষিরা এখন সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩৫ রকমের নানা রকমের সবজি চাষ করছেন চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষিরা লাভমান হতে পারবেন। ভরা শঙ্খের খালে হাইড্রোলিক রাবার ড্রাম বাঁধের কারণে বছর জুড়ে পানির নিশ্চয়তা পাওয়ায় সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বহুগুণ বেড়েছে। এতে করে সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ