পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়েছে। শনাক্তের হারও হু হু করে বাড়ছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশে। গত প্রায় এক সপ্তাহে এই হার বেড়েই চলছে। চলতি শীতে সংক্রমণের দি¦তীয় ঢেউয়ের বড় আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত চ‚ড়ান্ত কার্যকরী কোন ওষুধ হয়নি দুনিয়ায়। তাই মরণব্যাধি ভাইরাসটি রোধে প্রত্যেকেই তাকিয়ে আছেন নিরাপদ একটি ভ্যাকসিন বা টিকার দিকে।
এরই মধ্যে চীনের নামকরা প্রতিষ্ঠান আনহুই জেফেই লংকম বায়োলজিক ফার্মাসি বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করতে খুবই আগ্রহ দেখিয়েছে। কোম্পানিটির টিকার ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য আবেদনও করেছে। তাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ বলে কোম্পানিটি দাবি করেছে। তারা আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি)-এর সঙ্গে আলোপ আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে বলেও সূত্র বলছে।
গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার চীনের কোম্পানি সিনোভ্যাকের টিকা পরীক্ষার অনুমতি দেয়। আইসিডিডিআরবি এই পরীক্ষা করার কথা ছিল। পরে প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটের কথা বলে পিছুটান দেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়কে। সেখানে কোম্পানিটি তাদের ‘অর্থনৈতিক ক্রাইসিস’-এর কথা জানিয়ে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশ সরকারকে ‘কো-ফান্ডিং’ করার জন্য অনুরোধ করেছে। কারণ হিসেবে তারা চিঠিতে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে তাদের। চিঠিতে সিনোভ্যাক বলেছে, আমাদের কাছে যে ফান্ড ছিল তা অন্যান্য দেশে ট্রায়ালের জন্য বিতরণ করা হয়েছে এই মুহূর্তে। তাই বাংলাদেশে ট্রায়াল করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমাদের হাতে নেই। গত ১৮ জুলাই চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন করোনাভ্যাককে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। এরপর সিনোভ্যাককে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া হয় গত ২৭ আগস্ট।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চীন, রাশিয়া, ভারত ছাড়া অন্য দেশ থেকে টিকা আনার সম্ভাব্য বিকল্প পথ খুঁজে দেখছে। কোভ্যাক্সের (কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাকসেস) মাধ্যমে টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়ায়ও বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। অক্সফোর্ডের টিকা দেশে আনতে সরকার, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি এবং দেশের খ্যাতিনামা বৃহৎ ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদানকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড চুক্তি হয়েছে চলতি মাসেরর ৫ নভেম্বর। এতে দেড় কোটি মানুষকে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।