Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এগিয়ে চলছে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ

উখিয়ার মাদরাসায় আশার আলো

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদরাসাটি এলাকার মানুষের আশার আলোয় পরিণত হচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদরাসার অবকাটামোগত উন্নয়নেও শুরু হয়েছে কোটি কোটি টাকার কাজ। হাঁটি হাঁটি পা পা করে গত ২০ বছর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা হাল ছাড়েনি। এই ২০ বছর খেয়ে না খেয়ে তারা আঁকড়ে ধরেছিল এই প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী ছিল একদিন ফুলে ফলে সুশোভিত হবে এই প্রতিষ্ঠান। এখন ধৈর্য্যরে ফল তারা পেয়েছে। সার্থক হয়েছে তাদের কষ্ট।
জানা যায়, ২০ বছর পরে সরকারের সুনজরে এসেছে গয়ালমারা দাখিল মাদরাসা। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। এই সুযোগে গয়ালমারা দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্ত হয়েছে। এছাড়া মাদরাসা বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ১১২ ফুট লম্বা এবং ৩৩ ফুট প্রস্থ মাদরাসা প্রধান ভবনের কাজ। চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনটি ৩ কোটি কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করছে এই ভবনটি। ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদরাসা পুরাতন টিনশেড ভবনটি খুব দ্রুত সংস্কারের করা হবে এবং ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ মাদরাসা পুকুর খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাদরাসা ও মসজিদের জন্য উন্নতমানের ওয়াস রোম করে দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাদরাসার অবকাঠা উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী খুশি এবং তাদের কষ্ট সার্থক বলেই মনে করছেন তারা। এ সময় মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা দিল মোহাম্মদ ও প্রতিষ্ঠাতা আহমদ কবির সওদাগর জানান, গত ২০ বছরের কষ্ট তাদের সার্থক হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এলাকার শিক্ষানুরাগী ও মাদরাসার অন্যতম জমিদাতা প্রবীণ মুরুব্বি আলহাজ আসায়াদ আলী এবং মাস্টর আব্দুল করিম বলেন, শিক্ষা দীক্ষায় গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার সুনাম অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে সরকারের অনুদান প্রশংসনীয়। সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, এটি এমপিওভুক্ত করতে সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম এবং স্থানীয় এমপিসহ অনেকের অবদান অনস্বীকার্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ