বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি কেঁটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।
সুত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের কমলাপুর বাজার এলাকার মৃত সলেমান বিশ্বাসের ছেলে জামায়াত কর্মী মিজানুর মাষ্টারের বিরুদ্ধে দিন দুপুরে কমলাপুর ক্যানালের রেগুলেটর সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে খাল ও দমদম সড়কের জমি দখল করে পুকুর কেঁটে মাটি ইট ভাটায় বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এদিকে একই অভিযোগ পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার নির্দেশে এস আই আশিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর কাঁটা দেখে অভিযুক্ত মিজানুর মাষ্টারকে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘটনার সংবাদ পেয়ে জামায়াত কর্মী মিজানুর মাষ্টার ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুসা আহম্মেদকে বিষয়টি ম্যানেজ করতে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি এসেই পুলিশকে জানান, যে জমিগুলো কেঁটে মাটি বিক্রয় করা হয়েছে তার প্রকৃত মালিক মিজানুর মাষ্টার। পরবর্তীতে পুলিশ মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলে কিছুক্ষন পর মিজানুর মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে এসে পৌছান। এসময় মিজানুরের কথা বলার আগেই মুসা আহম্মেদ জামায়াত কর্মী মিজানুর মাষ্টারকে অভিযোগমুক্ত করার লক্ষে আবারও পুলিশকে জানায় জমিগুলো সরকারী নয়। মিজানুর রহমানের পৈতৃক সম্পত্তি। তার কথার সাথে সুর মিলিয়েই মিজানুর রহমান মাষ্টার তার নিজের জমি বলেই দাবি করেন। এ কথা শুনে এস আই আশিক বলেন পুকুরের মাটিগুলো গেলো কোথায় ? উত্তরে মিজানুর মাষ্টার বলেন, মাটিগুলো জোতপাড়ার শুকুর মালিথার ছেলে জসিমের ইট ভাটায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত শুনে এস আই আশিক মিজানুর মাষ্টারকে বলেন, ঘটনাস্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ আসবে। তারা এসে নির্ধারন করবেন তাদের জমি কিনা। আর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে আর এক কোদাল মাটিও কাঁটা যাবেনা বলে নির্দেশনা দিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, জমিগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড ও দমদম সড়কের। এছাড়াও জামায়াত কর্মী মিজানুর মাষ্টারকে মাটি কেঁটে বিক্রি করতে দেখে কমলাপুরের বসারত সরদারের ছেলে আনিছুর রহমান মুুকুলও ঘটনাস্থলের পাশেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারী জমি কেঁটে তার মাটি নিজের জমিতে ফেলে উঁচু করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।