বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়ার গয়ালমারা দাখিল মাদরাসাটি এলাকার মানুষের আশার আলোয় পরিণত হচ্ছে। শিক্ষার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদরাসার অবকাটামোগত উন্নয়নেও শুরু হয়েছে কোটি কোটি টাকার কাজ।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে গত ২০ টি বছর এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যার পরনাই কষ্ট পেলেও হাল ছাড়েনি তারা। এই ২০ বছর খেয়ে না খেয়ে তারা আকঁড়ে ধরেছিল এই প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষ এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী ছিল- একদিন ফুলে ফলে সুশোভিত হবে এই প্রতিষ্ঠান। এখন ধৈর্যের ফল তারা পেয়েছে। সার্থক হয়েছে তাদের কষ্ট। লাঘব হচ্ছে তাদের দুঃখ।
২০ বছর পরে সরকারের সুনজরে এসেছে গয়ালমারা দাখিল মাদরাসা। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। এই সুযোগে গয়ালমারা দাখিল মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হয়েছে এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতা দিয়ে এই মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর আশা পূরণে এগিয়ে এসেছে।
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ১১২ ফুট লম্বা এবং ৩৩ ফুট প্রস্থ মাদ্রাসার প্রধান ভবনের কাজ। চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনটি ৩ কোটি কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সরকারের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্মাণ করছে এই ভবনটি।
৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাদ্রাসার পুরাতন টিনশেড ভবনটি খুব দ্রুত সংস্কারের করা হবে এবং ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ মাদ্রাসার পুকুর খননের উদ্যোগ নিয়েছে।
রেডক্রিসেন্ট ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাদরাসা ও মসজিদের জন্য উন্নত মানের ওয়াস রোম করে দিচ্ছে। মাদরাসার দু'টি ওয়াস রোমের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে মাদরাসার অবকাঠা উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী খুশী এবং তাদের কষ্ট সার্থক বলেই মনে করছেন তারা।
এসময় মাদরাসার সুপার মাওলানা দিল মোহাম্মদ ও প্রতিষ্ঠাতা আহমদ কবির সওদাগর জানান, গত ২০ বছরের কস্ট তাদের সার্থক হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এলাকার শিক্ষানুরাগী ও মাদরাসার অন্যতম জমিদাতা প্রবীণ মুরুব্বি আলহাজ্ব আসায়াদ আলী এবং মাষ্টার আব্দুল করিম বলেন, শিক্ষা দীক্ষায় গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার সুনাম অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে সরকারের অনুদান প্রশংসনীয়।
সমাজ সবেবক স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী বলেন, এটি এমপিওভূক্ত করতে সরকারের সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব শফিউল আলম এবং স্থানীয় এমপিসহ অনেকের অবদান অনস্বীকার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।