পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই পরিবর্তন হবেই কেউ ঠেকাতে পারবে না। শুধু একটি সুযোগ, একটি পরিবেশের অপেক্ষায় আছি। গণজাগরণের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে বিদায় করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকের তরুণ সমাজকে বলব আগামী দিনটা আপনারদের। আপনাদের বয়সে আমরা ‘বাংলাদেশ কেমন দেখব’ সেই কারণে একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম সেই বাংলাদেশ দেখতে পারি নাই এখনও। সেই বাংলাদেশ দেখার যে লড়াই সেই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আমরা আছি। আমরা সামনে থাকতে বললেও আছি, পিছে থাকতে বললেও আছি। অর্থাৎ আমরা কখনোই আপনাদের ছেড়ে যাব না।
দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালানায় দোয়া মাহফিলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন। দোয়া মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, সাদেক আহমেদ খান, কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এসকে সাদী, মেহিদী হাসান পলাশ, আবদুর রহিমসহ কয়েক‘শ নেতাকর্মী অংশ নেন।
এর পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে তারেক রহমান সুন্দর পরিবেশে দেশে ফিরে আসতে পারবেন। গণতন্ত্র ফেরাতে পারলে বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আমি আশা করব, আপনারা তার সঙ্গে প্রতারণা করবেন না, তাকে মিথ্যা বলবেন না এবং তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করবেন। নিজেদের জাহির করা নয়, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আজকে তার জন্মদিনে শুধু বলত চাই ‘শুভ শুভ দিন, তারেক রহমানের জন্মদিন। বক্তব্য শেষ করে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ৫৬ পাউন্ডের কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা সরফত আলী সপু, ফুটবলার আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেক আলী বাবু।
মহানগরের ৫৬ পাউন্ডের ৩ কেক
এদিকে তারেক রহমাননের জন্মদিন উপলক্ষে নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে তিনটি কেক কাটেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।