পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং চক্র। গত বছর বরগুনায় রিফাত শরিফ হত্যার পরে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত কিশোর গ্যাং কিছুটা স্তিমিত হলেও বছর না ঘুরতেই তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। সম্প্রতি রিফাত হত্যা মামলার রায়ে কয়েক জনের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ডের পরে সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, এসব গ্যাংদের অনৈতিক কর্মকান্ডে কিছুটা ভাটা পড়বে। কিন্তু সমাজের শান্তিপ্রিয় মানুষের সে আশা পূরণ হয়নি। বছরখানেক আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর মনোভাবে কিশোর গ্যাং নিষ্ক্রিয় হলেও পুনরায় এসব গ্যাং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে। এমনকি করনো সংকট শুরুর প্রথম দিকে এসব গ্যাং অনেকটাই নির্জিব হয়ে পড়লেও সময়ের ব্যাবধানে পুরনো সংস্কৃতিতে ফিরেছে তারা।
গত শনিবার রাতে ‘আব্বা গ্রুপ’ নামের কিশোর গ্যাং’র সশস্ত্র হামলার শিকার সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম টিপুকে মধ্যরাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে। নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় এসব গ্যাং অনেকটাই ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে ফেলেছে। এরা পাড়া-মহল্লাসহ নগরবাসীর বিনোদন পার্ক এবং ওয়াকওয়েগুলোর নিয়ন্ত্রও গ্রহণ করেছে।
গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বরিশাল মহানগরীর অবস্থা সবচেয়ে নাজুক হলেও এ নগরীতে কিশোর গ্যাং’দের তৎপড়তা ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। নগরীর স্বাধীনতা পার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, নবগ্রাম রোড ও চৌমুহনীর লেকের পাড়ে কিশোর গ্যাং-এর অপতৎপড়তায় সাধারণ মানুষ অসহায়। এমনকি বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও এর ওয়াকওয়েতেও এখন কিশোর গ্যাং-এর অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে।
সংঘবদ্ধ গ্যাং চক্র মোটরসাইকেল মহড়া, ছিনতাই, মাদকবহন, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পরছে। বরিশাল মহানগরীতে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাং-এর দলীয় কোন পরিচয় নেই। তারা একেক সময় একেক দলের কথিত নেতা-কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘নগরীতে কিশোর গ্যাং ‘সৌরভ বালা গ্রæপের দৌরাত্ম্য দীর্ঘদিন ধরেই। মাঝে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপড়তায় নীরব থাকলেও বর্তমানে তারা নগরীর সদর রোড, কালীবাড়ি রোড, ফকিরবাড়ি রোড, বগুড়া রোড, বটতলা ও অক্সফোর্ড মিশন রোডসহ আশপাশের এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ গ্রæপের বিরুদ্ধে ইতোপূূর্বে একাধিক মামলা থাকলেও তাদের কর্মকান্ড থেমে থাকেনি।
গ্যাং কালচার নিয়ে নতুন করে নগরবাসীর মাঝে ভীতি সৃষ্টি হলেও ‘বরিশাল মহানগরীতে কোন ধরণের গ্যাং কালচার চলতে দেয়া হবে না’ বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। ‘যারাই গ্যাং কালচার করতে আসবে তাদের কঠোরভাবে দমন করার হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। নগরবাসী পুলিশ কমিশনারের এ বক্তব্যে আস্থা রাখতে রাজী হলেও ভরসার পরিবেশ সৃষ্টিরও দাবি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।