Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাউশির নির্দেশনা অপূর্ণাঙ্গ-অমানবিক

টিউশন ফি আদায়ের নির্দেশনা পুনঃবিবেচনার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

বেসরকারি টিউশন ফি আদায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা পুনঃবিবেচনার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাকালে টিউশন ফি আদায়ে মাউশি যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অপূর্ণাঙ্গ ও অমানবিক। এতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি স্কুল কর্তৃপক্ষকে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর বিষয়ে মানবিক আচরণ করার কথা বললেও তাদের বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিফলন ঘটেনি। বরং ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকদের অভাব-অনটন ও দুর্ভোগের বিষয়ে কোন গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বার্থে পুরো টিউশন ফি পরিশোধের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করছে। যা কোনভাবেই অভিভাবকরা মানতে বাধ্য নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মাসিক টিউশন ফি ছাড়াও জানুয়ারি মাসে ভর্তির সময়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অন্তত ২০টি খাতে বিভিন্ন হারে ফি আদায় করেছে। এগুলো হচ্ছে অভ্যন্তরিণ পরীক্ষা, ডায়েরি, টিফিন, ম্যাগাজিন, ক্রিড়া, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, লাইব্রেরি, কল্যাণ, কম্পিউটার, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্ট, কমনরুম, পরিচয়পত্র, নিরাপত্তা, নবীনবরণ, জেনারেটর, বিদ্যুৎ, বিবিধ খাত ইত্যাদি। বিজ্ঞপ্তিতে মাত্র ৭টি খাত উল্লেখ করা হয়েছে। এসব খাতে ফি আদায় করে থাকলে ফেরত দিতে হবে বা টিউশন ফির সাথে সমন্বয় করতে বলেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব খাতে ফি নিতে বারন করা হয়েছে সেগুলোর যদি স্কুল-কলেজ ফি নেয় কিংবা সমন্বয় না করে, তাহলে কী ব্যবস্থা নেবে বা কোথায় অভিযোগ করা যাবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়নি। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠানে দুষ্ট ও ধূর্ত অধ্যক্ষ/ প্রধান শিক্ষক বসে আছেন, তারা নির্দেশনা উপেক্ষা করতে পারে এবং বলতে পারে ইতোমধ্যে সব টাকা খরচ হয়েছে। তাছাড়া করোনায় অভিভাবকদের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারি চাকরিজীবী আর বড় ব্যবসায়ী বাদে বাকিদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ফুল ফ্রি বা হাফ ফ্রির নির্দেশনা দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নামকরা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বছরের শুরুতেই টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন ফি আদায় করে থাকে। অন্যদিকে ইতোমধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি আদায় করে ফেলেছে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান বছরের শুরুতে মোটা দাগে সরকার নির্ধারিত ৮ বা ১০ হাজার টাকা আদায় করেছে। তাতে খাত উল্লেখ থাকে না। যেসব খাত উল্লেখ করা হয়নি, সেগুলোর ফি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং সরকার মনিটরিং কমিটি গঠন করে তা বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ