পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাভাবনাকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে অপারেটর নিয়োগ ও বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ওপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল এবং বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ আরও গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মো. আবুুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য, কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় ১২ ভাগ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিসিটি নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পিসিটিতে থাকবে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজসহ ৫৮৩ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি, ২২০ দীর্ঘ ডলফিন জেটি, ৮৯,০০০ বর্গমিটার আরসিসি ইয়ার্ড, ২১২৮ বর্গমিটার কন্টেইনার শুল্ক স্টেশন, ২১৫০ মিটার লম্বা ৬ মিটার উচ্চ কাস্টম বন্ডেড হাউজ, ২৫০০ মিটার রেলওয়ে ট্রাক, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, ১২০০ বর্গমিটার মেকানিক্যাল ওর্য়াকশপ এবং ৫,৫৮০ বর্গমিটারের অফিস বিল্ডিং। এর বাৎসরিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা চার লাখ টিইইউ’স (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যরে কন্টেইনার।
নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সমাপ্ত হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর জেটিতে একসাথে তিনটি জাহাজের বার্থিং সুবিধা তৈরি হবে। বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা পিসিটির অপারেটর পরিচালনা কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করতে সময় সূচি ও এ্যাকশন প্লান প্রণয়ন এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও চবকের সমন্বয়ে একটি প্রজেক্ট টিম গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় জানানো হয় বে-টার্মিনালের প্রধান কম্পোনেন্ট পাঁচটি। দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল। একটির দৈর্ঘ্য ১,২২৫ মিটার এবং অপরটির দৈর্ঘ্য ৮৩০ মিটার, ১,৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল একটি, ৫ কিলোমিটার ব্রেকওয়াটার এবং পরিমাণ মত ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং। বিভিন্ন দেশ বে-টার্মিনাল প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাস্টারপ্লান ও ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।