বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে সরকারী খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে “গ্রীন এলপিজি” কোম্পানির বিরুদ্ধে। কোম্পানিটি মোংলা বন্দরের পশুর নদীর পাড়ের তাদের নিজস্ব জেটি ড্রেজিং করে তার বালু দিয়ে ওই খাল ভরাট করে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির কোনও কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমনকি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিকেও তোয়াক্কা করেননি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, “গ্রীন এলপিজির স্থানীয় কর্তাকর্তাদের নিষেধ করার পরও তারা ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে আমতলা সরকারী খালটি ভরাট করে ফেলেছে।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকার যেখানে খাল খনন করছে, সেই মূহুর্তে গ্যাস কোম্পানি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল ভরাট করছে। এটা পরিবেশ এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের কর্মকান্ডের জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশুর নদীর পশ্চিম পাড়ে গ্রীন এলপিজির নিজস্ব জেটি এলাকায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ড্রেজিং করে তার বালু এক জায়গায় ডাম্পিং (স্তুপ) না করে সরসরি পাইপ দিয়ে পাশেই খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলা সরকারি খালে ফেলে। এর ফলে ওই খালটি ভরাট হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রানী মন্ডল , উত্তম কুমার ও পুস্পিতা রায় সাংবাদিকদের জানান, তিন দিন আগেও প্রবাহমান এই খাল দিয়ে আমরা নৌকায় করে খেতের ধান নিয়ে আসি। এখন খালটি বন্ধ হওয়ায় শত শত মন ধান জমিতেই পড়ে আছে। এছাড়াও এখন এই খালের মিষ্টি পানি আমরা নানা কাজে ব্যবহার করতাম। এখন পানি না থাকায় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে দাকোপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওদুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না, সরকারী খাল ভরাটের দায়ে গ্রীন এলপিজি কোম্পনির বিরুদ্ধে সর্বচ্চ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বানিশান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, ওই কোম্পানির কিছু খামখেয়ালী কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা আমার কোনও কথাই শোনেনি, আমি তাদের একাধিকবার অনুরোধ করেছি। তারপরও তারা তাদের ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে প্রায় ৩’শ ফুট খাল ভরাট করে স্থানীয়দের ভোগান্তি ফেলেছেন।
এদিকে গ্রীন এলপিজি কোম্পানির স্থানীয় সিভিল প্রকেীশলী আশিষ রায় দাবি করে বলেন, ভুলবশত বালু খালে পড়ে ভরাট হয়েছে। এখন আমরা এই খালের বালু অপসারণ করার ব্যবস্থা করছি।
কোম্পনিটির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিস এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি, তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন- “আপনারা চা বিস্কুট খান, আমরা আপনাদের হেড অফিসে কথা বলব” সংবাদ করা লাগবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।