Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষতবিক্ষত কক্সবাজারের গ্রামীণ সড়ক

বর্ষা ও বৃষ্টিতে শত শত কি.মি. রাস্তাঘাট ও সড়ক-উপসড়ক বেহাল

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

এবারের বর্ষা বিলম্বিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গ্রামীণ জনপদের। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে শত শত কি.মি. রাস্তাঘাট ও সড়ক-উপসড়ক। গ্রামীণ জনপদের কাঁচা-পাকা সড়কের ইট ও মাটি সরে গেছে। অনেক স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে বেড়েছ জনদুর্ভোগ। তবে কক্সবাজার এলজিইডি বিভাগ গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলো সংস্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলায় ১৪ হাজার ৪শ’ ৩১কি.মি. স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাঁচাপাকা সড়ক আছে। এর মাঝে পাকা সড়ক আছে ১ হাজার ৪২০ কি.মি.। গেল বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে গ্রামীণ জনপদে এক তৃতীয়াংশ কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়াসহ সর্বত্র গ্রামীণ জনপদের এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে এখন মধ্য নভেম্বর শীত শুরু হয়ে গেছে। অথচ গত সপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টি পাত হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমেনি গ্রামীণ জনপদে। ইতোমধ্যেই গ্রামীণ জনপদে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে সবজি ও লবণ চাষ। এ জন্য ব্যাপক ব্যবহার হবে গ্রামীণ সড়কগুলো।
উখিয়ার ব্যাপক ব্যবহৃত একটি সড়কে গয়ালমারা হিজলিয়া খালে ব্রিজের সংযোগ ভেঙে গত দু’সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে উখিয়া-মরিচ্যা-পাতাবাড়ি সড়কে। অথচ এই সড়কটি কক্সবাজার উখিয়া-টেকনাফ সড়কের সমান্তরাল মরিচ্যা থেকে উখিয়া সদর পর্যন্ত বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানরা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়ার পর প্রধান সড়ক শহীদ এটিএম জাফর আলম (আরাকান) সড়কের চাপ কমাতে ওই সড়কটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মুরুব্বী ও সমাজ সেবক আলহাজ আসায়াদ আলী জানান, স্বাধীনতার পর তার প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে গয়ালমারা এলাকায় হিজলিয়া খালের ওপর প্রথমে একটি কাঠের ব্রিজ হয়। এই ব্রিজ কোন জায়গায় হবে এবং কেউ জমি দিতে রাজি না হওয়ায় উত্তর পাশে তার জমিতেই প্রথমে ব্রিজের কাজ শুরু করা হয়েছিল। ১৯৮২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এটি পাকা হয়। গত ৪০ বছর ধরে ব্যাপক ব্যাবহারে ব্রিজটি এখন সংস্কার জরুরি।
স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল কবির চৌধুরী বলেন, স¤প্রতি এই ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জনচলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। তবে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী পরিদর্শন করে নির্বাহী প্রকোশলীর কাছে রিপোর্ট করেছেন। তিনি দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, গেল বর্ষায় প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলে গ্রামীণ জনপদের এক তৃতীয়াংশ কাঁচাপাকা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে সব সংস্কারের কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, উখিয়া-মরিচ্যা-পাতাবাড়ি সড়কে গয়ালমারা হিজলিয়া খালে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ে এটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। গয়ালমারায় হিজলিয়া খালের ব্রিজটি আরো বড় এবং লম্বা হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ