Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছে রামগতির ৬০ পরিবার

রামগতি (লক্ষ্মীপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১:২৮ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মাথা গোঁজার জন্য দুর্যোগ সহনীয় বসতঘর পাচ্ছে ৬০ গৃহহীন পরিবার। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণের এ উদ্যোগ নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। উপজেলায় গৃহ নির্মাণের জন্য গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এই ঘর নির্মাণ করেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাজের বিনিময়ে টাকা-কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় বিশেষ খাতের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে ৬০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য এসব দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সেমিপাকা প্রতিটি বসতঘরে থাকছে দুটি কক্ষ, বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি শৌচাগার। প্রতিটি বসতঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা। উপজেলায় এসব বসতঘরের মোট নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬০০ টাকা। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে একই ধরনের ৪৯টি দুর্যোগ সহনীয় বসতঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ছিল দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। ওইসব বসতঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল এক কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ১৯ টাকা।

সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগে তাদের থাকার ভালো ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের খুব সুন্দর ঘরগুলো করে দিয়েছেন। তাই তারা শেখ হাসিনা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।' ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া বসতঘরের উপকারভোগী উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাজেরা বেগম বলেন, 'খুব ছোট একটি জরাজীর্ণ ঘর ছিল আমার। বিভিন্ন সময়ে ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় কোনো কাজ করতে না পেরে এ ঘরে পড়ে আছেন। নিজের ভালো ঘর না থাকায় ছেলে নিয়ে অন্যের ঘরে থাকতাম। এখন শুধু আমি নয়,আমার সন্তানরাও ভবিষ্যতে এ সরকারি ঘরে বাস করতে পারবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন জানান, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন,আমার গ্রাম, আমার শহর' অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যে সব দারিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে, কিন্তু টেকসই ঘর নেই, তাদের জন্য এ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ