Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষ্মী নারায়ণ আখড়ার দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে দাবিকৃত জিউস পুকুর বিরোধ মেটাতে পারেন মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২০, ১১:২০ এএম

জিউস পুকুরের যে অংশে নারায়ণগঞ্জ নাসিক মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়ৎ আইভীর নানার সম্পত্তি রয়েছে সেটা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিতর্কের সুষ্ঠ সমাধান চান নগরবাসী।
মালিকানা নিয়ে যত দ্বন্ধ বা বির্তক থাকুক না কেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেরই থাকুক জিউস পুকুর এমন দাবী হিন্দু নেতুবৃন্দের। তাদের এই দাবীর প্রতি সমর্থনও রয়েছে অন্যান্য ধর্মালম্বী জনগোষ্ঠির। শহরবাসীরা চান মেয়র একমাত্র মেয়র আইভীই পারেন এ সমস্যার সমাধান করতে। তারা বলছেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরের যে অংশটি রয়েছে তা অধিগ্রহন করতে পারে সিটি কর্পোরেশন।
অধিগ্রহনের পর তা সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষন করতে পারেন। নিতে পারে উন্নয়ণমুলক প্রকল্প। চারিদিকে ঘাট বাধাই ও সৌন্দয্য বর্ধন করে তৈরী করতে পারেন রাশেল পার্কের লেকের মত মনোরম পরিবেশের।
সংরক্ষিত হতে পারে আজীবনের জন্য জিউস পুকুর। থেকে যাবে দেওভোগ লক্ষীনারায়ণ আখড়ার দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে। এটা হতে পারে একটি স্থায়ী সমাধান, যদি মনে করেন মেয়র আইভী। এক্ষেত্রে তার মায়ের যে অংশটি রয়েছে তা দান করে দিতে পারেন লক্ষীনারায়ন আখড়াকে। যে কর্মটি করে ইতিহাস গড়তে পারেন মেয়র আইভী।
জানা গেছে, পুকুরটির ক্রয় সূত্রে এবং ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মেয়র আইভীর নানা মামা মা ও খালারা। পরে এই পুকুরের মালিকানা দাবি করে মন্দির কর্তৃপক্ষ পর পর তিনটি মামলা দায়ের করেন এবং তিনটি মামলায়ই হেরে যায় মন্দির কতৃপক্ষ। মামলাগুলিতে জিতেন আইভীর স্বজনরা। বর্তমানে আরো একটি মামলা চলমান রয়েছে। এই মামলায়ও তারাই জিতবেন বলে আশা করছেন। কারন এই সম্পত্তি সাফকবলা দলিলমূলে ক্রয়কৃত।
কোনো মতেই আদালতের রায় ছাড়া পুকুরের যে অংশের মালিক আইভীর স্বজনরা সেই জায়গা মন্দির দখল করতে পারবে না। কারন জায়গাটি এখন থেকে আরো ৪১ বছর আগে মন্দির কর্তৃপক্ষই বিক্রী করেছে বলে সমুদয় দলিল রয়েছে। তাই মেয়র আইভীর কাছে অনেকের আবেদন তিনি যেনো মন্দিরের পাশের এই পুকুরের জায়গাটি অধিগ্রহন করে তা রক্ষনাবেক্ষনের ব্যাবস্থা করেন।
এতে পুকুরপাড়ের হিন্দু মুসলমান সকলেই উপকৃত হবেন। শ্রী বৃদ্ধি পাবে মন্দিরের। তাই মেয়র আইভী যদি উদ্যোগ নিয়ে এই পুকুরটির জায়গা অধিগ্রহন করেন এবং পুকুরটির চারিপাশ বাধাই করেন, বেশ কয়েকটি পাকা ঘাটলা নির্মান করেন এবং সর্বোপরি শেখ রাসেল পার্কের মতো পুকুরটির উন্নয়ন করে একটি দীর্ঘদিনের বিরোধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারেন। নিজেও হতে পারেন ইতিহাসের একটি অংশ।
বজায় রাখতে পারেন ধর্মীয় সম্প্রীতি। মেয়র আইভীর কাছে এটাই নগরবাসীর চাওয়া। যেহেতু তিনি এই শহরে হিন্দুদের বিভিন্ন উপাশনালয়ের উন্নয়নে এরই মাঝে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তাই শহরবাসীর প্রত্যাশা মেয়র আইভী এই পুকুরটিও সংরক্ষন করবেন এবং ব্যাক্তি মালিকানাধীন অংশ অধিগ্রহন করবেন। অর্থাৎ সবকুল রক্ষা করে এই জিউস পুকুর হতে পারে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির এক অনন্য সেতু বন্ধন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ