পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য রাজধানীতে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর অবস্থানে যাওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেসহ পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি গাইডলাইন করেছে সরকার। এজন্য জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্ততি ও সাড়াদান পরিকল্পনা এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ওইসব তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের সেফটি মেজারের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) রিকোয়ারমেন্ট আছে যে, এই ধরনের পাওয়ার প্লান্ট করার আগে সেফটি গাইডলাইন ও রেসপন্স প্ল্যান থাকতে হবে। না হলে তারা চালু করার সুযোগ দেবে না। সে জন্য আইএইএর গাইডালইন-স্ট্রাকচার অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের সকল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত এবং সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়াদান পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত দলিলে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক জরুরি অবস্থার ধরণ। মানে কী ধরনের দুর্যোগ হতে পারে আমাদের আসলে সে ধারণা নেই। এই গাইডলাইন আমাদের সেই আইডিয়া দেবে। ব্যবস্থাপনাটা কীভাবে করা হবে? পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় আটটি পারমাণবিক বিপর্যয় হয়েছে। চারটি আমেরিকায়, একটি সোভিয়েত ইউনিয়নে, গ্রেট ব্রিটেনে এবং জাপানে সুনামির সময়। এই অভিজ্ঞতা তারা একত্রিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাঠামো দাঁড় করানো যে কখনও কিছু হলে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য আর্মড ফোর্সসহ পর্যাপ্ত জনবল যারা আছে তাদের প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এটা মূলত বাংলাদেশে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাজনিত দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে একটা ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হবে। আল্লাহ না করুক, বিপর্যয় হোক বা না হোক সেই বিপর্যয়ের জন্য আগে থেকে প্রস্ততির জন্য একটা গাইডলাইন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ঢাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কোভিড করোনাভাইরাস নিয়ে বলা হয়েছে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে যেতে হবে। সংক্রমণ একটু বেড়েও যাচ্ছে মনে হচ্ছে। সেজন্য আরেকটু সতর্কতা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। শীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় মাস্ক ব্যবহারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। ঢাকায় করোনার বিষয়ে কোনো সেফটি মেজার্স দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা গতকাল বলে দিয়েছি যাতে ঢাকাতেও বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট বা ল-এনফোর্সিং এজেন্সি আরেকটু স্ট্রং হয়। এটা দৃশ্যমান হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করি আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে দেখা যাবে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত অ্যাগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন কাস্টমস ম্যাটারস এর অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন এ চুক্তি না হওয়ার ফলে আমাদের অনেকগুলো আইটেম তুরস্কে ঢুকতে পারছে না। তুরস্কে আমাদের রফতানি কমে গেছে। এটা যখন আমরা তাদের সঙ্গে পয়েন্ট আউট করলাম তারা বলল চুক্তিটা কমপ্লিট করার জন্য। চুক্তিটা হলে আমরা আইটেম দেখে বুঝতে পারবো কোন আইটেমগুলো আমাদের এখানে সাবস্টিটিউট আর কোন আইটেমগুলো কমপ্লিমেন্টারি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাই যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেই বেনিফিট পাবো না। তুরস্কে গত ২ থেকে ৩ বছরে আমাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি কমে গেছে। চুক্তি হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে। দু’দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। আর পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে একদেশ আরেক দেশকে তথ্য দিতে পারবে। দু’দেশেরই অর্থনীতি, জনস্বার্থ ও অন্যান্য স্বার্থ কার্যকর হবে। কারণ যেগুলো আমাদের প্রয়োজন আমরা তুরস্ক থেকে আনতে পারবো।
তিনি বলেন, দু’দেশের আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রমেও একজন আরেকজনকে সহায়তা করবে। আর কাস্টমসের উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বিশেষ করে তুরস্কের যে কাস্টমস ফ্যাসিলিটিজ আছে সেটা দেখে যদি আমাদের কাজে লাগে আমরা সেখানে কো-অপারেশন দিয়ে আমাদের কাস্টমসকে ইমপ্রুভ করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।