পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবারও বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ঘাড় মটকে দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতে ইসলামপন্থীদের ঘাড় মটকে দেয়ার হুমকি দিয়ে অনেক ক্ষমতাধররা টিকে থাকতে পারেনি।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরী : ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর আমীর মোস্তফা বশিরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আবু বকর সিদ্দিক এক যুক্ত বিবৃতিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ইসলামপন্থীদের ঘাড় মটকে দেয়ার হুমকি দিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অতীতেও ইসলামপন্থীদের ঘাড় মটকাতে এসে ফেরাউন, নমরুদ, আবু জাহেলদের নিজেদেরই ঘাড় মটকে গেছে। বর্তমানেও যারা ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে ইসলামপন্থীদের ধ্বংস করতে আসবে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে শিক্ষা-উপমন্ত্রী নওফেল চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। নওফেল সরকারের একজন মন্ত্রী হয়ে সন্ত্রাসীর ভাষা ব্যবহার করে নিজেকে বেয়াদব হিসেবে জাহির করলেন। নেতৃদ্বয় বলেন, এরূপ ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য দেশবাসীর সামনে নওফেলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যক্তি নওফেলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
কওমী ছাত্র সংসদ : শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাস্কার্যের নামে মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে তিনি এদেশের তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নাস্তিকদের সহযোগী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের একারই সম্পদ নয়। তিনি স্বাধীন বাংলার ৯২ ভাগ মুসলিম জনগণেরও সম্পদ৷ কারণ তিনি তার গোটা জীবনে ইসলামের জন্য বহুবিধ খেদমত করে গেছেন৷ শিক্ষা-উপমন্ত্রীর ‘ঘাড় মটকে দেবার’ মতো ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য বাংলাদেশের সমস্ত মুসলমানের হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছে৷ নওফেলের বক্তব্য অতিসত্বর প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় তাকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মতো বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি৷ ধোলাইপাড়ের মূর্তি-প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে তদস্থলে আল্লাহর পবিত্র ৯৯ নাম অঙ্কিত ‘মুজিব মিনার’ স্থাপন করতে হবে৷ গতকাল বাদ আসর যাত্রাবাড়ীর দোলাইপাড়স্থ সংসদের কার্যালয়ে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদের সহ-সভাপতি আহমাদুল্লাহ, আবু দাঊ,সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, হুজাইফা খান, জাবির মাহমুদ, আবু নাঈম ও তরিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ইমাম মুসলিম ঐক্য পরিষদ : যাত্রাবাড়ী মিরহাজারীবাগস্থ ্একটি মাদরাসায় বাংলাদেশ ইমাম মুসলিম ঐক্য পরিষদের জরুরি পরামর্শ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একজন শিক্ষা উপমন্ত্রীর উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যে কোটি কোটি তাওহিদী জনতার ঈমানি দাবি ও বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ সম্মানকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। দায়িত্ব জ্ঞানহীন উপমন্ত্রীকে অনতিবিলম্বে সকল প্রকার পদ থেকে বহিস্কার করতে হবে। নওফেলের বক্তব্যে কেবল মাত্র ইসলাম বিরোধি মনোভাবই প্রকাশ পায়নি বরং স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের প্রতি চরম বেয়াদবি বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। পরামর্শ সভায় আল্লামা রশিদ আহমদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন, মুফতী শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা মুফতী মনিরুজ্জামান, পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুর্শিদুল আলম, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা হারুনুর রশিদ, যুগ্ম সেক্রেটারি মুফতী রুহুল আমিন, হাফেজ মাওলানা আনওয়ার হামিদী ও মুফতী শফিক সাদি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উপমন্ত্রীর বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : শিক্ষা উপমন্ত্রীর বক্তব্য ‘ঘাড় মটকিয়ে দিবো” এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও ভারপ্রাপÍ মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক। এক বিবৃতিতে বলেছেন, হুমকি দমকি দিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্রা ঠেকানো যাবে না। মুসলমানরা ঈমান বাঁচাতে রক্ত ও জান দিতে প্রস্তুত রয়েছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল যে ঔদ্ধত্যপুর্ন বক্তব্য দিয়েছে তার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় যে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।