পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের নারীদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে নিরাপদ রাখতে পুলিশ চালু করেছে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন। সাইবার ক্রাইম একটা বাউন্ডারিলেস ক্রাইম। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হন নারীরা এবং তাদের বেশিরভাগ বয়স ১৪ থেকে ২৪ বছর। গতকাল সোমবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন› উদ্বোধনকালে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এ সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকনোলজির দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের ১১ কোটি মানুষ সেলফোন ব্যবহার করে। ৭ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জাতিসংঘের একটি জরিপে দেখা যায়, বিশ্বে তিন চতুর্থাংশ নারীরাই হয়রানির শিকার হন। সাইবার অপরাধে ৬৮ শতাংশই হচ্ছে নারী। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা যেভাবে আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তেমনই বিভিন্ন সমস্যারও সৃষ্টি করছে। সে সব সমস্যা মোকাবিলায় পুলিশের এ সেবা।
আইজিপি বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে অপরাধীরা সবচেয়ে বড় সুবিধা পায় তা হলো নিজের নাম-পরিচয় ও দেশ গোপন রেখে নারীদেরকে হয়রানি করতে পারা। এটিই নারীর প্রতি ডিজিটাল হয়রানির নতুন রূপ। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বব্যপী একই চিত্র। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৭৩ শতাংশ নারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, গুগল, ফেসবুক, ফেক আইডি খুলে, অনলাইন পোর্টাল খুলে, ব্লগে মিথ্যা প্রচারণা ও মানুষের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়। দেশে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য অনেক আইন রয়েছে। এর মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আ্যাক্ট, পর্নোগ্রাফি আ্যাক্ট, টেলিকমিউনিকেশন কন্ট্রোল আ্যাক্ট, আইসিটি আ্যাক্ট। সাইবার ওয়ার্ল্ডকে নিরাপদ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এই সমস্ত আইনগুলো প্রচলন করেছে। এই আইনগুলোতে ৬ হাজার ৯৯টি মামলা হয়েছে যার অধিকাংশ ভিকটিমই হচ্ছে নারী।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেনের সকল অফিসাররাই হবেন নারী। যারা কল, রিসিভ করবেন, পরামর্শ দেবেন, সহয়তা করবেন, তদন্ত করবেন তারা সবাই নারী কর্মকর্তা।
৯৯৯ থেকেও পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন সেবা পাওয়া যাবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, দেশের সমস্ত স্থান থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিনামূল্যে এ সেবা নারীরা গ্রহণ করতে পারবেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমরা দীপ্তভাবে পদচারণা করব কিন্তু সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে ঝুঁকি আছে তা প্রত্যেককে সচেতন হওয়া উচিত। অনেক সময় নিজের অজান্তেই সাইবার ওয়ার্ল্ডে হয়রানির শিকার হন সেটাকে আমরা বলি অনিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার। আমরা চায় সবাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। সেফটি ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। এরপরেও যদি কোনও ধরনের ঝামেলা হয়ে যায় তাহলে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন নারীদের সহায়তা করতে করবে। যেভাবে কাজ করবে ‹পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর ওমেন: Police Cyber Support for Women নামক ফেসবুক পেজে, ইমেইল, [email protected] ও হটলাইন মোবাইল নম্বর ০১৩২০০০০৮৮৮ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে পারবেন নারীরা। নারীরা যারা সাইবার বুলিং, আইডি হ্যাক, স্পর্শকাতর তথ্য-ছবি- ভিডিও প্রকাশ, সাইবার স্পেসে যৌন হয়রানি ইত্যাদি অপরাধের শিকার হচ্ছেন তারা এখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সঙ্গে ভিকটিমের তথ্য গোপন রেখে প্রয়োজনীয় সেবা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরিকরণে প্রয়োজনীয় তথ্য ও জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।